প্রকাশ্যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর প্রথম লুক। নিজস্ব চিত্র।
পরনে সাদামাঠা সুতির শাড়ি। কপালে ছোট টিপ, লম্বা বিনুনি আর কানে দেওয়া একটা বড় হেডফোন। বর্তমানের কোনও রেডিয়ো সঞ্চালকের গড়নের সঙ্গে মিল পাওয়া বেশ কঠিন। একাধারে ‘রেডিয়ো উপস্থাপক’ এবং লেখিকা হিসাবে এ বার পর্দায় আসছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। নেপথ্যে পরিচালক অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়। আকাশবাণীর কর্মী এবং লেখিকা বেলা দে-র জীবনীচিত্র তৈরি করেছেন তিনি। প্রকাশ্যে ছবির প্রথম লুক। যেখানে মধ্যবিত্ত পরিবারের এক সাদামাঠা মহিলার সাজে ঋতুপর্ণা। প্রযোজনার দায়িত্বে ‘গ্রেমাইন্ড কমিউনিকেশন’।
‘রেডিয়ো জকি’, ‘ফুড ব্লগার’—এই শব্দগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে খুব চেনা। এখন ছেলে, মেয়ে নির্বিশেষে নিজেদের পেশা হিসাবে বেছে নিচ্ছেন এমন অনেক অন্য ধারার পেশা। যা কয়েক দশক আগেও মানুষের কাছে ছিল আনকোরা।
স্বাধীনতার কিছু পরের সময়। তখন নারীরা নিজদের অধিকার নিয়ে কথা বলবেন সেটাই ভাবতে পারতেন না অনেকে। কিন্তু বেলা ছিলেন স্রোতের বিপরীতে। কেন এই গল্প পর্দায় বলার জন্য বেছে নিলেন পরিচালক?
পর্দার 'বেলা' ঋতুপর্ণা। নিজস্ব চিত্র।
আনন্দবাজার ডট কমকে অনিলাভ বললেন, “এই চিত্রনাট্য অনেক দিন ধরেই তৈরি ছিল। এক দাদা আছেন তিনি চান না প্রকাশ্যে আসতে তিনিই আমায় সারা ক্ষণ উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছেন।” দেশভাগের সময় বেলার উত্থানের কাহিনি পর্দায় উঠে আসবে। এই চরিত্রে কেন ঋতুপর্ণাকে বেছে নিলেন পরিচালক? অনিলাভ বললেন, “ঋতুপর্ণা এই ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শক্তিশালী অভিনেত্রী। মনে হয়েছিল ওর থেকে ভাল বেলা দে-এর চরিত্র আর কেউ পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবে না।” চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয় এই ছবির। এই গল্পের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে রান্না। এ প্রসঙ্গে নায়িকা জানিয়েছিলেন তিনি নিজেও রান্না করতে পছন্দ করেন কিন্তু সময়ের অভাবে আর করে ওঠা হয় না। ঋতুপর্ণা ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন একঝাঁক অভিনেতা। রয়েছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, ভদ্রা বসু প্রমুখ। আগামী ২৯ অগস্ট মুক্তি পাবে এই ছবি।