Matthew Perry

ম্যাথুর সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন, ‘ফ্রেন্ড’-এর অকালপ্রয়াণে বেসামাল জেনিফার অ্যানিস্টন

গত ২৮ অক্টোবর ৫৪ বছর বয়সে প্রয়াত হন হলিউড অভিনেতা ম্যাথু পেরি। নব্বইয়ের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় আমেরিকান সিটকম ‘ফ্রেন্ডস’-এর মুখ ছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

লস অ্যাঞ্জেলেস শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৫
Share:

(বাঁ দিকে) ম্যাথু পেরি। জেনিফার অ্যানিস্টন (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

তাঁর মৃত্যুর পরে কেটে গিয়েছে দিন দশেক। গত ২৮ অক্টোবর প্রয়াত হয়েছেন ‘ফ্রেন্ডস’ খ্যাত আমেরিকান অভিনেতা এবং কৌতুকশিল্পী ম্যাথু পেরি। শনিবার বাড়ির স্নানঘর থেকে উদ্ধার করা হয় অভিনেতার নিথর দেহ। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় জনপ্রিয় তারকার। অভিনেতার লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে স্নানঘরের বাথটাবে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। তার পরে ম্যাথুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘ফ্রেন্ডস’-এর প্রধান ছয় চরিত্রের অন্যতম ছিল চ্যান্ডলার বিং। ম্যাথুর মৃত্যুর খবর প্রাথমিক ভাবে বিশ্বাসই করতে পারেননি তাঁর অনুরাগীরা। প্রিয় বন্ধুর অকালপ্রয়াণে বিপর্যস্ত ‘ফ্রেন্ডস’ সিরিজ়ে তাঁর সহকর্মী ও বন্ধুরাও। তবে ম্যাথুর মৃত্যুতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন জেনিফার অ্যানিস্টন (র‌্যাচেল), কোর্টনি কক্স (মনিকা), ম্যাট লেব্ল্যাঙ্ক (জোয়ি), লিসা কুড্রো (ফিবি) ও ডেভিড শ্যুইমার (রস)। ম্যাথুর শেষকৃত্যে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাজির ছিলেন বাকি পাঁচ ‘ফ্রেন্ড’। তার পরেও নাকি নিজেদের সামলাতে পারছেন না পাঁচ বন্ধু। বিশেষ করে ম্যাথুর মৃত্যুর পর একেবারে ভেঙে পড়েছেন জেনিফার তথা র‌্যাচেল।

Advertisement

‘ফ্রেন্ডস’-এর সেটে চ্যান্ডলার ও র‌্যাচেল। ছবি: সংগৃহীত।

এক বছর আগেই সবে নিজের বাবাকে হারিয়েছেন জেনিফার। বাবার মৃত্যুর শোক এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি অভিনেত্রী। সেই যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসার আগেই নিজের প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে বিধ্বস্ত জেনিফার। ‘ফ্রেন্ডস’-এর ছয় বন্ধুর মধ্যেই ম্যাথুর সবচেয়ে কাছের ছিলেন জেনিফার। এমনকি, বছরের পর বছর ধরে মাদকের নেশার সঙ্গে যখন যুঝছেন ম্যাথু, তখন নিয়মিত তাঁর খবর নিতেন জেনিফারই। নিজের একাধিক সাক্ষাৎকারে তা জানিয়েছিলেন ম্যাথু। নিজের সেই বন্ধুই যে এত তাড়াতাড়ি তাঁদের সবাইকে ছেড়ে চলে যাবেন, তা ভাবতেও পারেননি জেনিফার।

অভিনয় জীবনে একাধিক ছবিতে অভিনয় করলেও ‘ফ্রেন্ডস’-ই ছিল ম্যাথুর মনের সবচেয়ে কাছের। ‘ফ্রেন্ডস’-এর সেটেই নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের খুঁজে পেয়েছিলেন ম্যাথু। জীবনাবসানের পরে সেই সেটের কাছেই শায়িত হয়েছেন অভিনেতা। লস অ্যাঞ্জেলেসে ‘ফ্রেন্ডস’ সেটের কাছে ‘ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক’-এ সম্পন্ন হয় ম্যাথুর শেষকৃত্য।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন