ভারতে তিনি আর আসবেন কি না অথবা তাঁকে আসতে দেওয়া হবে কি না— সে নিয়ে বিতর্ক এখনও থেমে যায়নি! তার মাঝেই বৃহস্পতিবার ভাল খবরটা দিলেন পরিচালক মহেশ ভট্ট। জানালেন, কিংবদন্তি গজল গায়কের সঙ্গে তাঁর কথা পাকা হয়ে গিয়েছে। তাঁর নাটকে গান গাইতে রাজি হয়েছেন গুলাম আলি। গুলাম আলির গায়কিকে সঙ্গে নিয়েই ভট্টর নাটকের নায়ক-নায়িকা হিংসার মধ্যে দাঁড়িয়ে ভালবাসার কথা বলবে, আরও একটু দৃঢ় করে নেবে দুই প্রতিবেশী দেশের সৌহার্দ্যকে।
“ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি কথা দিয়েছেন, আমার নাটকে গান গাইবেন। পারফর্মিং আর্টের মধ্যে দিয়ে যে বিশ্বপ্রেমের কথা বলতে চাইছি আমরা, উনিও সেই উদ্যোগে সামিল হতে সানন্দে রাজি হয়েছেন”, এ কথা বলছেন মহেশ ভট্ট।
অবশ্য, গুলাম আলি আর মহেশ ভট্টর এই যুগলবন্দি প্রথম নয়। এর আগে ১৯৯০ সালে মহেশ ভট্টর ‘আওয়ারগি’ ছবিতে গান গেয়েছিলেন গুলাম আলি। তার পরে ইচ্ছে থাকলেও এমন কোনও চিত্রনাট্যে হাত দিতে পারেননি মহেশ ভট্ট, যা গুলাম আলির গায়কির প্রতি সুবিচার করবে। সম্প্রতি শিবসেনার তাণ্ডবের মুখে গুলাম আলির ভারতে আসা বন্ধ হয়ে গেলে ইচ্ছেটা আবার মাথাচাড়া দেয়! মহেশ ভট্টর মনে হয়, ‘হমারি অধুরি কহানি’-র নাট্যরূপ ‘মিলনে দো’ সুবিচার করতে পারে এই পরিস্থিতির সঙ্গে। সে কথা জানালে গান গাইতে রাজি হন গুলাম আলি।
পড়ুন: ভারতের অনুষ্ঠান বাতিল করলেন গুলাম আলি
কথা আছে, পরের বছরে ২৪ এপ্রিল মুম্বইয়ে মঞ্চস্থ হবে মহেশ ভট্টর এই নাটক। তার পরে তা মঞ্চস্থ হবে ভারতের অন্য শহরে এবং পাকিস্তানে। গুলাম আলির গান কী ভাবে রেকর্ড করা হবে, তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি। এই নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন মহেশ ভট্ট নিজেও। ‘জানি না উনি ভারতে এসে রেকর্ডিং করতে পারবেন কি না! তবে, ওঁর গান যে ভাবেই হোক নাটকে থাকছেই”, বলছেন বর্ষীয়ান পরিচালক।