ধৃত বিজেপি কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। —নিজস্ব ছবি।
দেশি বন্দুক-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে পাকড়াও হলেন এক যুবককে। অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে একটি হোটেলের ম্যানেজারকে তিনি টাকা চেয়ে হুমকি দিচ্ছিলেন ফোনে। তার পর টাকার দাবিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হোটেলেই চলে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে পাকড়াও করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই যুবক বিজেপির সক্রিয় কর্মী।
পুলিশ সূত্রে খবর, নারায়ণগড় থানার ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ডহরপুর একটি হোটেলের ম্যানেজার অভিযোগ জানিয়েছিলেন থানায়। তিনি জানান, বেলদার বাসিন্দা তমালজ্যোতি জানা তাঁকে ফোন এবং হোয়াটস্অ্যাপে টাকা দাবি করতেন। টাকা না দিলে ভয় দেখানো হত। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত হোটেলে গিয়ে টাকা দাবি করেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ তা দিতে অস্বীকার করেন। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এর পর হোটেলকর্মীরা যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করেন। তখন একটি দেশি পিস্তল মেলে।
খবর পেয়ে নারায়ণগড় থানাযর পুলিশ যায় ওই হোটেলে। তারা আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করেন ২৬ বছরের তমালকে।
শনিবার খড়্গপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল অভিযুক্তকে। তবে ধৃতের দাবি, তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বলে শাসকদলের নেতারা চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছেন। শাসকদল ওই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে। এলাকার তৃণমূল নেতা রঞ্জিত বসু বলেন, ‘‘উনি যে অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তা ছাড়া বিজেপির কালচার তো এই। পিস্তল নিয়ে তোলাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’ অন্য দিকে, বিজেপি নেতৃত্ব এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।