কেকেআর নক আউটে গেলে টিকিটের সঙ্গে এই ডিগবাজিটা ফ্রি
কী কী থাকছে
‘ব্রেথটেকিং’ ব্রেথওয়েট
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে চার ছক্কা রাতারাতি ব্রেথওয়েটকে করে তুলেছে টি-টোয়েন্টির নতুন তারকা। মাঠ ছাড়া ইন্টারনেটেও তিনি ইতিমধ্যে ঝড় তুলে দিয়েছেন। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস সমর্থকরা তো এখন থেকেই সতর্ক করে দিচ্ছেন, ‘‘তোমাদের সবার ধোনি, গম্ভীর, গেইল, কোহালি থাকতে পারে। আমাদের কিন্তু ব্রেথওয়েট আছে।’’
ধোনি যখন অন্য রঙে
টানা আট আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংগসের হয়ে খেলেছেন তিনি। বহু বার দলকে ফাইনালে তুলেছেন। দু’বার ট্রফিও জিতেছেন। চেন্নাইতে তো এখনও রাস্তায় রাস্তায় ধোনির ফটো দেখা যায়। কিন্তু অবশেষে ঘর ছেড়ে এ বার অন্য দলে ক্যাপ্টেন কুল। রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টসকেও কী চেন্নাইয়ের মতো সফল করে তুলতে পারবেন ধোনি? অপেক্ষায় আইপিএল।
কোচ কালিস
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ব্যাট এবং বলে তাঁর কেরামতি আগেও দেখেছে আইপিএল। এ বার দক্ষিণ আফ্রিকার সেই মহাতারকাকে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। কালিসের নামের পাশে বসতে চলেছে কোচের আখ্যা। মাঠের বাইরে থেকেই কেকেআরের তৃতীয় আইপিএল খেতাব জেতার ঘুঁটি সাজাতে হবে কালিসকে। পারবেন হ্যাটট্রিক করতে?
হো এক ইন্ডিয়া হ্যাপিওয়ালা
‘জাম্পিং ঝপাং’, ‘ইন্ডিয়া কা তেওহার’য়ের মতো এ বারও আইপিএল তৈরি তার নতুন থিম সং নিয়ে। টিভি চালালেই বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে ‘এক ইন্ডিয়া হ্যাপিওয়ালা’। মেসেজ একটাই— আইপিএলের সময় সবাই একটাই সুর বোঝে।
কিংগ খান ও টুইটার
আইপিএলে এখনও প্রথম বলও খেলা হয়নি। অথচ এখন থেকেই দলের জন্য ক্রিজে নেমে পড়েছেন শাহরুখ খান। প্রথম ম্যাচের আগে কেকেআরকে চাঙ্গা করতে টুইটারে পোস্ট, ‘‘হৃৎস্পন্দন বাড়ছে। আমি কেকেআর।’’ আইপিএলে শাহরুখ খানের টুইটার অ্যাকাউন্টই প্রমাণ করে দেয় তিনি শুধু মাত্র মালিক নন। দলের সমর্থকও। এ বারও শাহরুখ খানের টুইটের অপেক্ষায় থাকবেন নাইটরা। আর স্বয়ং শাহরুখ মাঠে আসলে তো কেল্লাফতে।
কলকাতা বনাম কলকাতা
পুণে সুপার জায়ান্টের মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কার সঙ্গে ধোনি
কলকাতা নাইট রাইডার্স শুধু নয়। এ বার যুদ্ধে থাকছেন সঞ্জীব গোয়েন্কাও। যাঁর দল রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টস প্রস্তুত নতুন চ্যাম্পিয়ন হতে। পুণে বনাম কলকাতা ম্যাচ তো এখন গৃহযুদ্ধই।
বাড়িওয়ালা সৌরভ
ইডেনের ‘বাড়িওয়ালা’ সৌরভ
কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন অধিনায়ক। বর্তমানে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই নাইটদের ঘরের মাঠ ইডেন মানেই তো এখন দাদার ‘বাড়িও’। বাড়িওয়ালা সৌরভের থেকে কত পয়েন্ট তুলবেন শাহরুখের নাইটরা?
কী থাকছে না
বীরু-ঝড়:
পরের পর ছয়। বোলারদের স্লেজিংয়ের জবাব দিয়ে চার। বীরেন্দ্র সহবাগ নামক হিটম্যানকে আর দেখা যাবে না আইপিএলে। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও কিংগস ইলেভেন পঞ্জাবে খেলা সহবাগ বহু স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিলেও কোনও দিন জিততে পারেননি আইপিএল।
হুইসেল পোড়ু
শিস মেরে ধোনির ‘হুইসেল পোড়ু’ থিম। সঙ্গে রায়নাও যোগ দেন। আট আইপিএলে সেই থিম সং ও হলুদ রংয়ের জার্সি আপাতত ইতিহাস। দু’বছরের জন্য আইপিএলের অন্যতম সফল দল চেন্নাই সুপার কিংগস নির্বাসিত তালিকায়।
জয়-বীরু আলাদা
প্রথম আইপিএল থেকেই একসঙ্গে খেলে এসেছেন। দু’জনের বন্ধুত্ব শোলের সেই বিখ্যাত গানকেও মনে করিয়ে দেয়— ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহী তোরেঙ্গে’। কিন্তু আইপিএলের সেই জয় অর্থাৎ ধোনি ও বীরু অর্থাৎ রায়না আর সতীর্থ থাকলেন কোথায়। ধোনি যেখানে পুণেতে, রায়নার দায়িত্ব গুজরাতের অধিনায়ক হিসেবে তাঁর প্রিয় বন্ধুকে আইপিএল জেতা থেকে আটকানো।
বাজিগর আছেন, সীমা নেই
রাজস্থানের প্রতিটা ম্যাচ মানেই গ্যালারিতে তিনি অবধারিত। নীল রংয়ের ফ্ল্যাগ হাতে কখনও নাচছেন। কখনও আবার চিৎকার করছেন, ‘হাল্লা বোল’। সেলিব্রিটি মালিকদের মধ্যে গত কয়েক বছরে সমর্থকদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের শিল্পা শেট্টি। কিন্তু চেন্নাইয়ের সঙ্গে রাজস্থান রয়্যালসও নির্বাসিত হওয়ায় সেই দৃশ্য এখন অতীত। তার উপরে আবার গত বছরই রাজস্থান রয়্যালসে নিজের অংশীদারিত্ব বিক্রি করে দেন শিল্পা শেট্টি ও রাজ কুন্দ্রা।
অর্চনা-শিবানী
বহু পুরুষ দর্শকই ভেঙে পড়বেন খবরটা পেয়ে। হ্যাঁ, আইপিএল নাইনে ঘাগড়া-চোলি বা অফশোল্ডার ড্রেসে দেখা যাবে না অর্চনা বিজয় বা শিবানী দণ্ডেকরকে। তবে বাড়ির বউ যে অবশ্যই খুশি হবেন তা বলাই বাহুল্য।
নেই ফেক আইপিএল প্লেয়ার
আইপিএল টুতে তাঁর ব্লগ ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটিয়েছিল কেকেআর টিমে। সৌরভকে ‘লর্ডি’ আখ্যা দেওয়া থেকে শাহরুখের ডাকনাম হইচই ফেলে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বে। এমনকী আকাশ চোপড়া ও সঞ্জয় বাঙ্গারকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল এই ভেবে যে তাঁরাই সব তথ্য জানাচ্ছেন এই ব্লগারকে। কিন্তু এই বছর সেই রকম কিছু আর হবে না। ফেক আইপিএল প্লেয়ার বলে যে ব্লগ তিনি লিখতেন, সেই অনুপম মুখোপাধ্যায় এ বার আইপিএলের ব্লগ লেখা থেকেই অবসর নিয়েছেন।