KIFF2022-Chanchal Chowdhury

চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে অস্বস্তি বোধ করছিলাম: চঞ্চল চৌধুরী

বাবার অসুস্থতা সত্ত্বেও ঢাকা থেকে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছেন চঞ্চল। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে এ রাজ্যে মুক্তি পেল তাঁর ছবি ‘হাওয়া’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৫৪
Share:

চলচ্চিত্র উৎসবে ‘হাওয়া’ র সাংবাদিক সম্মেলনে চঞ্চল চৌধুরী, সৃজিত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। নিজস্ব চিত্র।

ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল আগেই। এ বার তা বাস্তবে প্রতিফলিত হল। ২৮তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে শুক্রবার নন্দনে ভিড়ের রাশ ধরে রাখল বাংলাদেশের ব্লকবাস্টার ছবি ‘হাওয়া’। শুক্রবার সন্ধ্যায় নন্দন-১ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হল চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ছবিটি। কিছু দিন আগে এই নন্দনেই চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে ‘হাওয়া’ ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনার সাক্ষী থেকেছে এ শহর। এ বারও তার অন্যথা হল না। বিকেল থেকেই দেখা গেল ছবি দেখার জন্য লম্বা লাইন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ‘হাওয়া’ এ রাজ্যে শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে। শুক্রবার বিকেলে নন্দনে গাড়ি থেকে চঞ্চলকে নিয়ে নামেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তত ক্ষণে তাঁদের সঙ্গে নিজস্বী তুলতে ঘিরে ধরেছেন অগণিত সিনেপ্রেমী। উল্লেখ্য, শহরে ‘হাওয়া’ নিয়ে দু’দিন আগের সাংবাদিক বৈঠকে হাজির থাকতে পারেননি চঞ্চল। তাঁর বাবা শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তিনি বাংলাদেশের হাসপাতালে ভর্তি। শুক্রবার চঞ্চল আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘বাবার শারীরিক অবস্থার এখনও কোনও উন্নতি হয়নি। তাই দু’দিন পরে হলেও আমি পরিবারের অনুমতি নিয়ে কলকাতায় চলে এসেছি। বলেও এসেছি যে, কোনও খারাপ খবর এলে আমি ঢাকায় ফিরে যাব।’’ শুক্রবার ‘হাওয়া’র কলাকুশলীর সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন সৃজিত।

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চঞ্চল। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, রানি মুখোপাধ্যায়দের সঙ্গে একই মঞ্চ ভাগ করে নেওয়ার অভিজ্ঞতা কী রকম? চঞ্চল বলেন, ‘‘প্রত্যেক বছর বিভিন্ন চ্যানেল বা ইউটিউবে এই অনুষ্ঠানটা আমরা দেখি। সেখানে এ বার সশরীরে উপস্থিত থাকা আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানজনক।’’ একই সঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘‘যাঁরা ওই মঞ্চে ছিলেন তাঁদের মধ্যে বসে থাকতে আমি একটু অস্বস্তি বোধ করছিলাম। কারণ আমি মনে করি, আমি তাঁদের তুলনায় খুবই নগণ্য। অরিজিতের (সিংহ) মতো আমিও চেষ্টা করছিলাম, যদি একটু পিছনের সারিতে বসা যায়। বাংলাদেশ হলে আমি তো তাই করতাম।’’

Advertisement

চঞ্চল মনে করেন, এ শহরে তাঁর এই সম্মানপ্রাপ্তির একমাত্র কারণ ‘হাওয়া’। টলিপাড়ায় কানাঘুষো, সৃজিতের সঙ্গে কাজ করতে চলেছেন চঞ্চল। এ প্রসঙ্গে খোলসা না করেও সৃজিত বলেন, ‘‘আমি ওঁর খুব বড় অনুরাগী। কথাবার্তা চলছে। সময় এলে সবাই জানতে পারবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন