Anupam Roy

Anupam Roy: আপাতত গানেই সমস্ত সোহাগ-আদর, বাকিটা আমি এবং আমার ধৈর্য: জন্মদিনে অনুপম রায়

অনুপমের সাবধানী জবাব, ‘‘জন্মদিনে বিশেষ কেউ, সোহাগ-আদর-- এ সব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। বরং একটি বছর এগিয়ে গিয়ে ধৈর্য বাড়াচ্ছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২২ ১৮:২০
Share:

জন্মদিনে কী ভাবে কাটাচ্ছেন অনুপম রায়

২৯ মার্চের মতো ব্যস্ত বোধ হয় বছরের বাকি দিনগুলোও থাকেন না অনুপম রায়। এ দিন তাঁর জন্মদিন। অথচ এ দিন দম ফেলার ফুরসতটুকুও নেই! আনন্দবাজার অনলাইন শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেছিল জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পীকে। অনুপম তখন আয়েস করে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন! কী কী ছিল তালিকায়? তৃপ্তির আমেজ গায়কের গলায়, ‘‘যা যা খেতে ভালবাসি, আজ নিজের হাতে মা সব কিছু রেঁধেছেন। ভাতের পাতে পাঁচ রকম ভাজা, তরকারি, চিংড়ি মাছের বিশেষ পদ আর পাঁঠার মাংস।’’ বাঙালির জন্মদিনে যে ভাবে পাত সাজানো হয়। খেতে খেতেই শিল্পীর ঝটিতি সংযোজন, "চালের পায়েসও আছে। ওটা না হলে জন্মদিনের আর কী হল!"

Advertisement

জন্মদিন উপলক্ষেই আগের দিন অর্থাৎ ২৮ মার্চ থেকে ব্যস্ত অনুপম। এ দিন তাঁর দু-দুটো অনুষ্ঠান। ফের খুশির ঝিলিক তাঁর গলায়। বললেন, ‘‘পরিচালক-প্রযোজক নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বড় উপহার দিচ্ছেন জন্মদিনে। এ দিন সন্ধেয় তাঁদের ‘বেলাশুরু’ ছবির প্রথম গান ‘সোহাগে আদরে’ মুক্তি পেতে চলেছে। আমার গান, আমার গাওয়া। শিবুদারা এ ভাবেই প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন। গুছিয়ে ভালবাসতে জানেন।’’ এ দিন সন্ধেয় ফকিরচাঁদ কলেজের ফেস্ট। সেখানে এক ঝাঁক পড়ুয়ার মধ্যে মঞ্চ দাপাবেন তিনি। শিল্পীর দাবি, ‘‘গোটাটাই কাকতালীয়। আমার জন্মদিন। ওদের ফেস্ট। তবে এই প্রজন্মের ভিড়ে মিশে যেতে পারলে মনটা তাজা হয়ে যায়। বয়স যেন পিছু হাঁটে।’’

আজকের অনুষ্ঠানে কি তা হলে সাদা চুল লুকিয়ে যাবেন অনুপম? মৃদু হাসিমাখা উত্তর, চুলে রুপোলি ঝিলিক মানে, অভিজ্ঞতা বাড়ছে। এটা ভাল লক্ষণ। তবে এই অনুষ্ঠানের চাপেই মাঝরাতের জন্মদিন উদ্‌যাপনে ভাটা! কারণ, মহড়া দিয়ে বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। ক্লান্ত শরীরে কোনও মতে নাকেমুখে গুঁজেই তাই ঘুমের দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। জন্মদিনের সকালে ঘুম ভেঙেছে ফোনের ডাকাডাকিতে। অজস্র শুভেচ্ছা। ফুলের তোড়ায়, উপহারে ঘর উপচে পড়েছে। সঙ্গে বন্ধুদের পাঠানো বঙ্গসন্তানকে ‘বিদেশি ব্রেকফাস্ট’! অনুপমের ছোট্ট রসিকতা, সকাল থেকে সই করে সব নিতে নিতেই বেলা কাবার! অর্থাৎ, জন্মদিনে ‘অটোগ্রাফ’-এর মেজাজেই শিল্পী।

Advertisement

মা-বাবা, বন্ধু— সবাই পাশে বিশেষ দিনে। বিশেষ কোনও বার্তা এসেছে বিশেষ কারও থেকে? সোহাগে-আদরে মাখা? একটু চুপ অনুপম। তার পরেই সাবধানী জবাব, ‘‘জন্মদিনে মা-বাবা পাশে আছেন এখনও। অনেক বড় পাওনা এটা। আর বিশেষ কেউ, সোহাগ-আদর— এ সব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। বরং একটি বছর এগিয়ে গিয়ে ধৈর্য বাড়াচ্ছি, এটা বলতে পারি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন