Deboshree Roy

Holi Special 2022: দিদি, জামাইবাবু, রানির সঙ্গে দোল খেলে সবাই সমুদ্রে যেতাম স্নান করতে: দেবশ্রী

পাড়ার ‘দাদা’দের সঙ্গে রং খেলার অনুমতি ছিল না। লাল আবিরে সিঁদুর মিশিয়ে পরিয়ে দেবে, সেই সুযোগও কেউ কোনও দিন পায়নি।

Advertisement

দেবশ্রী রায়

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২২ ১১:৪৮
Share:

দোলের স্মৃতি হাতড়ালেন দেবশ্রী।

দোল নিয়ে আমার মিশ্র অভিজ্ঞতা। ভাল-মন্দ অনেক স্মৃতি এই এক উৎসবকে ঘিরে। দোল মানেই সকাল থেকে পাড়ায় মাইকে বাজত ‘রং বরসে’ গান। সঙ্গে হুল্লোড়। আমি কোনও দিন এ সবে নেই। পাড়ার ‘দাদা’দের সঙ্গে রং খেলার অনুমতি ছিল না। লাল আবিরে সিঁদুর মিশিয়ে পরিয়ে দেবে, সেই সুযোগও কেউ কোনও দিন পায়নি। আমিও ও সব ভালবাসতাম না। আমার দোল তাই বরাবর পারিবারিক। ভাই-বোনেরা মিলে হইহই। ঘরোয়া খাওয়াদাওয়া। বড়দের পায়ে আবির ছোঁয়ানো, এইই...।

Advertisement

একটু বড় হওয়ার পরে মুম্বই চলে যেতাম। শশধর মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের দোল বিখ্যাত। ওই বাড়ির ছেলে রাম মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার দিদি রুমকির বিয়ে হয়েছে। সেখানে তারকার ঢল। সবার সঙ্গে মিশে দোল খেলতাম। দিদির জানকি কুটিরে একটা ফ্ল্যাট ছিল। সেখানে হাতেগোনা কিছু তারকা আসতেন। বাকি আমি দিদি-জামাইবাবু, বোনপো-বোনঝি রানি-রাজা মুখোপাধ্যায়। সবাই মিলে রঙের ফোয়ারা ছোটাতাম। গোটা সকাল ধরে দোল খেলে তার পর সবাই মিলে স্নান করতে যেতাম সমুদ্রে। তার মজাই আলাদা! তাই তখনও আমার কাছে দোল ভয়ানক হয়ে ওঠেনি।

সেই আনন্দই ভয়ের কারণ হয়ে উঠল পরপর ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন দুটো ঘটনায়। এক বার দোল খেলছি। পিছন থেকে কেউ রঙের সঙ্গে খারাপ কিছু মিশিয়ে আমার চুলে মাখিয়ে দিয়েছিলেন। দেখতে দেখতে আমার এক ঢাল চুল ঝরে পাতলা, ঝাঁটার কাঠির মতো! বিবর্ণ, নির্জীব। বাধ্য হলাম পার্লারে গিয়ে অত সাধের চুলে কাঁচি চালাতে হয়েছিল। কোমর ছোঁয়া চুল উঠল ঘাড়ে, বব কাটের কারণে। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।

Advertisement

আরও এক বার দোল খেলার পরে দাদার এক পোষ্য সারমেয়কে আদর করছি। বয়স হয়ে গিয়েছিল তার। চোখে দেখতে পেত না। আমারই দোষ। গায়ে-মুখে আবির। সেই অবস্থায় ওকে আদর করতে গিয়েছি। আবিরের গন্ধে আমার গায়ের গন্ধ ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। ফলে চিনতে পারেনি।চোখে দেখতে পেত না। ফলে, আমাকে চিনতেও পারেনি। সঙ্গে সঙ্গে গালে কামড়ে দিয়েছিল। দাঁত বসে গিয়ে সে বার রক্তারক্তি কাণ্ড! এ দিকে পরের দিন শ্যুটিং। আমার গালের চামড়া প্রায় খুবলে গিয়েছে। রূপটানের সাহায্যে সেই ক্ষত ঢেকে অভিনয় করতে হয়েছিল। যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল। এই দুটো ঘটনার পরেই আমার দোল খেলায় ইতি।

এখন আর হুল্লোড় করার বয়সও নেই। তার উপরে সারা সপ্তাহ শ্যুটে থাকি। ছুটি পাই না। পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারি না। উৎসব মানেই তাই ছুটির মেজাজ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement