Holi

Holi Special 2022: রঙের উৎসবে কী করবে ইউভান-আদি-মেরাখ? ফাঁস করলেন খ্যাতনামী বাবা-মায়েরা

কেউ ইতিমধ্যেই স্কুলে গিয়ে আগাম বসন্ত উৎসব পালনে ব্যস্ত। কেউ এতই ছোট যে তার বাবা ঠিক করেছেন, কোল থেকেই নাকি নামাবেন না!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২২ ১৬:৫৭
Share:

রং বরসে ইউভান-আদিদেব-মেরাখকে ঘিরেও!

হলেই বা ছোট। তা বলে শখ-আহ্লাদ নেই? বড়রা মনের সুখে রঙিন হবেন আর খুদেরা কেবলই ফ্যালফেলিয়ে দেখবে! রং মাখাবে, মাখবে না? হয় নাকি! রঙিন হবে কচিদের দুনিয়াও। কেউ ইতিমধ্যেই স্কুলে গিয়ে আগাম বসন্ত উৎসব পালনে ব্যস্ত। কেউ এতই ছোট যে তার বাবা ঠিক করেছেন, কোল থেকেই নাকি নামাবেন না! কারও মা সাদা পাজামা-পাঞ্জাবির অর্ডার দিয়ে দিয়েছেন অনলাইনে। লাল আবির কিনেছেন ছোট্ট প্রাণ রঙিন হবে বলে।

Advertisement

রাজ-শুভশ্রী চক্রবর্তীর ছেলে ইউভান, অগ্নিদেব-সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে আদিদেব, পায়েল দে-দ্বৈপায়ন দাসের ছেলে মেরাখ এ বার রং খেলার তালিকায়। তিন খুদে তারকা সন্তানের দোল উদযাপনের পরিকল্পনা কী? আনন্দবাজার অনলাইন জানতে চেয়েছিল রাজ, সুদীপা, পায়েলের কাছে। রাজের দাবি, ‘‘এখনও বড্ড ছোট। তার উপরে সবে ন্যাড়ামাথা হয়েছে আমার রসগোল্লা। তাই এ বছর রঙের থেকে দূরেই রাখব ইউভানকে। বাড়িতেই থাকবে। আমাদের কোলে কোলে। ত্বকে রাসায়নিক লেগে যদি কিছু হয়ে যায়। আগামী বছর আড়াই বছর হবে। তখন দেখা যাবে।’’ রঙের উৎসবে ভেষজ লাল আবির সবার জন্য নিরাপদ। তার ছোট্ট টীকা কি দেখা যাবে রাজ-পুত্রের কপালে? বিধায়ক-পরিচালক বাবার মতে, সেটা মা শুভশ্রী দিলেও হয়তো দিতে পারেন। তিনি দেবেন না।

তার পরেই ফাঁস করেছেন, খুব শিগগিরিই স্কুলে পা রাখবে ইউভান। মা-ছেলে মিলে আপাতত সেই আয়োজনেই ব্যস্ত। কচিদের স্কুলেও তো জমিয়ে দোল খেলা হচ্ছে। সেখানে যদি ইউভানকে কেউ রং দিয়ে দেয়? রাজ ছেলের বিষয়ে সদা-সতর্ক। তাই এপ্রিলে স্কুলে পাঠাবেন তাকে। আপাতত সিলেবাস মিলিয়ে বইখাতা কেনার পর্ব চলছে!

Advertisement

রাজ দোলের ভয়ে ছেলেকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। এ দিকে আদিদেবের উদযাপন শুরু বৃহস্পতিবার, স্কুল থেকেই! এ দিন খুদে নির্দেশ মেনে স্কুলে গিয়েছিল ধবধবে সাদা পোশাকে। শিক্ষিকাদের থেকে উপহার পেয়েছে প্লাস্টিকের রঙিন মগ, পিচকিরি। একটি জায়গায় জড়ো করে রাখা ছিল নানা ফুলের পাপড়ি। সেই ছুঁড়েই ফুল-দোল খেলেছে সবাই। সুদীপার কথায়, ‘‘দোল খেলে মহাখুশি আদি। ভেবেছিল বাড়িতে এসেও একই কাণ্ড হবে। আজ দোল নয় জেনে কী মন খারাপ!’’

শুক্রবার জন্মদিনে পাওয়া সুইমিং পুলে নাকি আদি ডুবে বসে থাকবে। ডোবাবে সবাইকে, এমনই ফন্দি এঁটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলেই বাতাস ভরে ফুলিয়ে রাখা হবে সেই পুল। নতুন জামা, ভেষজ রং, আবির, পিচকিরি সব এসেছে মামাবাড়ি থেকে। সুদীপার বন্ধুরাও পিঠে লাগানো ট্যাঙ্ক পিচকিরি সহ নানা উপহার দিয়েছে আদিকে। সারা দিন রং খেলার পাশাপাশি খানাপিনাও হবে। সুদীপা জানিয়েছেন, এই একটি উৎসবে বিরিয়ানি খান চট্টোপাধ্যায় পরিবার। বাইরে নিমন্ত্রণরক্ষা করতেও যান। এ ছাড়া, বাড়িতে ভাং মেশানো ঠান্ডাই খাওয়ার চল আছে। আদিও লস্যি খেতে খুবই ভালবাসে। তবে ভাং দেওয়া ঠান্ডাই? নৈব নৈব চ।

ছেলে মেরাখ দোল খেলবে। সেই আনন্দে মশগুল অভিনেত্রী পায়েল দে! বললেন, ‘‘আমাদের আবাসনে প্রতি বছর বাচ্চারা দোল খেলে। এ বছর মেরাখ যোগ দেবে। ওর জন্য অনলাইনে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি অর্ডার করেছি। সময়ে না পৌঁছলে হাফ প্যান্ট-ফতুয়া পরেই নেমে পড়বে!’’ এ বছর মেরাখের তৃতীয় দোল। প্রথম বছর কোলে চেপে প্রভাত ফেরিতে অংশ নিয়েছিল। দ্বিতীয় বছর নিজেই হেঁটেছে। এ বছর অনুষ্ঠানে অংশ নেবে! তার মহড়াও চলছে জোরদার। ভেষজ আবির থাকবে সঙ্গে। বেলুন, পিচকিরি? পায়েল জানিয়েছেন, এ সব মেরাখ ততটাও পছন্দ করে না। বদলে আবাসন চত্বরে বাচ্চাদের জন্য শাওয়ারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। সেই শাওয়ার চালিয়ে কাদায় গড়াগড়ি খেতেই নাকি বেশি পছন্দ করে কচি সংসদ!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement