প্রথম ছবি ‘গ্যাংস্টার’ মুক্তির অপেক্ষায়। কিন্তু, ছোটপর্দাই তাঁকে দিয়েছে নায়কের স্বীকৃতি। তিনি যশ দাশগুপ্ত। পুজোতে ছবি রিলিজ, পুজোতে জন্মদিন— জোড়া সেলিব্রেশনের আগে আড্ডা।
টলি নায়করা নাকি ইদানীং হিংসে করছে আপনাকে?
তাই? কেন বলুন তো?
ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই নাকি ভাবছেন কোনও কোনও তারকাকে টাফ কম্পিটিশন দেবেন আপনি?
আমি জানি না কেউ হিংসে করছে কিনা। তবে আমি কারও জায়গা নিতে আসিনি। আমি নিজের জায়গা করতে এসেছি।
এ তো টোটাল ডিপ্লোম্যাটিক আনসার হয়ে গেল…
(হাসি) অ্যারোগেন্ট বলে এমনিতেই আমার বাজারে খারাপ নাম আছে। তাই একটু ডিপ্লোম্যাটিক হওয়ার চেষ্টা করছি।
তাই?
হ্যাঁ। আসলে আমি যা বলি তা অনেক সময় মিস ইন্টারপ্রেট হয়ে যায়। ফলে কিছু না বলাই ভাল।
সিরিয়াল না ফিল্ম, কোনটা পছন্দের?
ফিল্ম।
কেন?
টেলিভিশনে গল্পটা একটা সময়ের পর স্ট্রেচ করতেই হয়। সেটা কারও দোষ নয়। কারণ শো চালাতেই হবে। কিন্তু ফিল্মে সে সমস্যা নেই।
কিন্তু, টেলিভিশনই তো আপনাকে জনপ্রিয় করেছে?
ঠিকই। টিভিকে ছোট করছি না তো। টেলিভিশন আমার ব্যাকবোন। আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে।
আবার ফিরবেন?
কেন নয়? অমিতাভ বচ্চন যেখানে টেলিভিশনে কাজ করছেন, সেখানে আমি কেন করব না?
‘গ্যাংস্টার’-এ আপনার চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবের যশের কতটা মিল?
অনেক। আসলে চরিত্রের সঙ্গে মিল না পেলে আমি কাজ করতে পারি না। যেমন ‘বোঝে না সে বোঝে না’-র অরণ্যকে আমি যশ হিসেবে দেখেছি। মনে হয়েছিল আমি নিজেকেই প্লে করছি। এই ছবিতে একটি ছেলে গ্যাংস্টার, নট বাই চয়েস। জীবন তাকে যে ভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সে ভাবে সে এগিয়েছে। মন দিয়ে কাউকে ভালবাসে। কিন্তু, রির্টান পায় না। পরে জানতে পারে আচ্ছা মানুষটা এমন? এটা বেসিক্যালি একটা লভ স্টোরি।
আর আপনার অফস্ক্রিন লভ স্টোরি?
আমার ফ্যামিলি আছে। জীবনে খুব সিলেক্টিভ লোকেরা আছে। তবে এন্ড অফ দ্য ডে আই অ্যাম আ লোনার।
এ বার কি ডিফেন্সিভ খেলছেন?
(ভেবে বললেন) আমি ডিফেন্সিভ খেলতেই ভালবাসি। আসলে কাজে বিশ্বাস করি। ভাল কিছু করলে তার রির্টান পাবই।
ইন্ডাস্ট্রির গুঞ্জন, ‘গ্যাংস্টার’ টিমেই নাকি আপনার অফস্ক্রিন লভ স্টোরি লুকিয়ে?
আপনি যদি পুনমের কথা বলেন ইয়েস শি ইজ স্পেশ্যাল।
যাক, নামটা আপনি নিজেই বললেন…
আপনি তো গ্যাংস্টারের কথা বললেন। সেখানে তো দু’জনই মেয়ে মিমি আর পুনম। সো…।
মিমির সঙ্গে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
মিমি ওয়াজ দ্য মুড চেঞ্জার। বিরসা আর আমি খুব সিরিয়াস থাকতাম। আর ও হাসাত। সেটাতে কখনও খুব ইরিটেটও হয়ে যেতাম, কখনও খুব ভালও লাগত। এর আগে আমি ওকে পার্সোনালি চিনতাম না। কিন্তু এটা যে আমার ফার্স্ট ফিল্ম ও সেটা কখনও বুঝতেই দেয়নি। বরং মনে হত ও নিউকামার, আমি অনেক দিন ধরে কাজ করছি। অ্যাটিটিউডটা অনেকটা এ রকমই ছিল। আমরা টিম হিসেবে কাজ করেছি।
আপনার নাকি বড়পর্দায় লভ মেকিং সিন নিয়ে প্রচুর সমস্যা আছে?
আসলে লভ মেকিং সিনের সঙ্গে আমি কানেক্ট করতে পারি না। আমি এমন কোনও ছবি করব না যেটা পরিবারের সকলে বসে দেখতে পারবে না। আমাকে মনে রাখতে হয়, অভিনেতার পাশাপাশি আমি এক ছেলের বাবা। আমাকে এটাও মনে রাখতে হয় যে এমন কোনও কাজ আমি করব না যাতে ছেলের সামনে আমাকে এমব্যারাস হতে হয়। কিছু জিনিস ক্যামেরার সামনে না এনে বেডরুমে রেখে দেওয়াই ভাল।
অনস্ক্রিন চুমুতেও আপত্তি?
চুমু খেতেই পারি। লভ মেকিং সিন করব না। কারণ আমি রিলেট করতে পারি না। এটা আমার প্রবলেম। আমি কিন্তু এ সবের বিরুদ্ধে নই।
একই দিনে ‘জুলফিকর’-এর মতো মাল্টিস্টারার ছবির রিলিজ, টেনশনে আছেন?
জুলফিকরে যা স্টার কাস্ট আমি তার কাছে কিছুই না। আর আমরা তো ভেক্টটেশের ছোট ছেলে। আমরা জানি বাবা আছে, বাবা সব সামলে নেবে।
ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
আরও পড়ুন
‘আমাকেও রাজ সম্পর্কে লোকে কত কী বলেছে, আমি তো বিশ্বাস করিনি!’