Iman Chakraborty

Iman Chakraborty: ইমনের বিরুদ্ধে ফের স্বজনপোষণের অভিযোগ! কী জবাব দিলেন শিল্পী?

কটাক্ষকারীর উদ্দেশে ইমনের প্রশ্ন, ‘‘আমার শিক্ষার্থীরা বেসুরো গায় তার বিচার করার আপনি কে?’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৪০
Share:

কটাক্ষের জবাব দিলেন ইমন

ফের বিতর্কে ইমন চক্রবর্তী। ফের কটাক্ষের শিকার তাঁর শিক্ষার্থীরা। জি বাংলার ‘সারেগামাপা’-য় অর্কদীপ মিশ্র সেরা হওয়ার পরে ইমনের পক্ষপাতীত্ব নিয়ে জোর তরজা বেঁধেছিল। এ বারও ঘটনা প্রায় সে রকমই। সম্প্রতি ছোট পর্দায় একটি গানের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন শিল্পী। গুরু-শিষ্য পরম্পরামূলক এই অনুষ্ঠানে ইমনের সঙ্গে গাইতে দেখা গিয়েছে তাঁর শিক্ষার্থীদের। রবিবার আকাশ আট চ্যানেলের প্রভাতী অনুষ্ঠানের পরেই কটাক্ষের বন্যা চ্যানেলের ফ্যানপেজে। কিছু শ্রোতার ক্ষোভ, ইমনের ছাত্র-ছাত্রী বলেই এঁরা বেসুরো গেয়েও চ্যানেলে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন! তাঁদের দাবি, ‘দিদিমণি একটা সুযোগ করে দিলেন! নইলে এত বেসুরো শিল্পীদের চ্যানেল কী করে সুযোগ দেয়?’

আসল ঘটনা কী? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল ইমনের সঙ্গে। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া শিল্পীর দাবি, এর আগে এই ধরনের অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর গুরুদের সঙ্গে গান গেয়েছিলেন। এ বার তাঁর শিষ্যরা গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাই নিয়েই কটাক্ষ শুরু। ইমনের দাবি, ‘‘ভীষণ সত্যি কথা। আমার শিক্ষার্থী বলেই ওঁরা বিশেষ অনুষ্ঠানে গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কারণ, অনুষ্ঠানটি গুরু-শিষ্যদের নিয়েই। সেখানে কি অন্যরা গাওয়ার সুযোগ পাবেন!’’ তাঁর আরও দাবি, সবাই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন। কারও যদি কোনও খামতি থাকে, সেটা শিক্ষকের। শিক্ষার্থীর নয়।

Advertisement

রবিবার সারা দিন এই ধরনের একাধিক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সে সব চোখে পড়েছে ইমনের। সদ্য করোনা থেকে ভুগে উঠেছেন। প্রথম দিকে তাই পাত্তা দেননি। বিষয়টি সোমবারেও গড়াতে নড়ে বসেছেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের খারাপ লাগা তাঁকে ছুঁয়ে গিয়েছে। ইমনের যুক্তি, ‘‘আমি কটাক্ষের শিকার হতে হতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। গানের জীবনের শুরুতে এ ভাবে আমাকেও বলা হত। অনেক কথা শুনতে হয়েছে। ওরা নতুন! সবে শিল্পী জীবন শুরু ওদের। এ সব দেখে খুব ভেঙে পড়েছে। ওদের চোখে জল!’’

ফলে, সপ্তাহের প্রথম বিকেলে তিনি স্বহিমায় উপস্থিত লাইভে। কটাক্ষকারীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমার শিক্ষার্থীরা বেসুরো গায় তার বিচার করার আপনি কে?’’ পাল্টা কটাক্ষও ছুড়েছেন, ‘‘নিজের পরিবারের ছেলেমেয়েদের গান শিখিয়ে বরং ওই মঞ্চে পাঠানোর চেষ্টা করুন না! তা তো পারবেন না!’’ তার পরেই তাঁর পরামর্শ, নতুনদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। সেই সময় এসেছে। তাই নবীনদের উৎসাহিত করাই অভিজ্ঞ শিল্পীদের প্রথম এবং প্রধান কাজ। একই সঙ্গে আন্তরিক অনুরোধ, ‘‘কাউকে যদি জায়গা ছেড়ে দিতে না পারেন তা হলে অকারণে তাঁর ক্ষতি করে দেবেন না!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন