Ishaa saha

Titin: সন্তান-স্বামীকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন ‘স্ত্রী’! পর্দায় ইন্দ্রনীলদের দায়িত্ব সামলাবেন ইশা

ফের একসঙ্গে ইন্দ্রনীল-ইশা! সুদেষ্ণা-অভিজিতের আগামী ছবি ‘তিতিন’-এ তাঁদের সঙ্গী পায়েল সরকার। শ্যুটিং শুরু সেপ্টেম্বরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২২ ০০:৩৪
Share:

ফাইল চিত্র।

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত-ইশা সাহাকে নিয়ে গুঞ্জন সবে থিতিয়েছিল। ফের নতুন ইন্ধন জোগাচ্ছে সুদেষ্ণা রায়-অভিজিৎ গুহের আগামী ছবি ‘তিতিন’। প্রযোজনায় রোড শো এবং শ্যাডো ফিল্মস। আনন্দবাজার অনলাইনকে সুদেষ্ণা জানিয়েছেন, এটাও একটি সম্পর্কের গল্প। একা বাবা কী ভাবে সন্তানকে সামলাবেন, ছবিতে সে দিকটিই তুলে ধরা হবে। ‘বাবা’র চরিত্রে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। পর্দায় তাঁর স্ত্রী পায়েল সরকার। এঁদের মধ্যবর্তিনী ইশা। পর্দায় ইন্দ্রনীলের মেয়ে কে হবে? পরিচালকের দাবি, “খোঁজ চলছে।”

Advertisement

অভিজিৎ বর্তমানে সিরিজের শ্যুটের কারণে বাইরে। পরিচালক জু্টির অন্যতম সুদেষ্ণার কথায়, ‘‘সন্দীপ রায়ের হত্যাপুরীর শ্যুটের দৌলতে রানার সঙ্গে ভাল যোগাযোগ তৈরি হয়েছে ইন্দ্রনীলের। আমরাও অনেক দিন ধরে ছবিটি বানানোর কথা ভাবছিলাম। ইন্দ্রনীলকে রানা গল্পটা শোনাতেই ওঁর ভাল লাগে। রাজিও হয়ে যান।’’

ছবির কাহিনিকার সুদেষ্ণা-অভিজিৎ। চিত্রনাট্য লিখেছেন রোহিত-সৌম্য। এঁদের অতি সাম্প্রতিক ছবি ‘কলকাতার হ্যারি’। কাহিনি বলছে, ইন্দ্রনীল-পায়েলের যে চরিত্রে অভিনয় করবেন, তাঁদের এক সন্তান। পায়েল যতটা সংসারী তার থেকেও পেশার প্রতি বেশি মনোযোগী। সেই জায়গা থেকেই একটা সময়ের পরে স্বামী-সন্তান ছেড়ে চলে যান তিনি। আচমকা একা ইন্দ্রনীল সন্তান বড় করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তখনই আসেন ইশা। ধীরে ধীরে তিনিই ইন্দ্রনীলের মেয়ের মা! বেশ কিছু বছর পরে পায়েল ফিরে আসেন। তত দিনে তিতিন তাকে ভুলেই গিয়েছে! এ বার কী হবে? পরিচালকের মুখে কুলুপ। ছবির কিছুটা শ্যুটিং হবে কলকাতায়। বাকিটা হবে লন্ডনে, আগামী সেপ্টেম্বরে।

Advertisement

অন্য দিকে পায়েলের কথায়, ‘‘চিরাচিত ধারণা ভাঙব বলেই চরিত্রটি করতে রাজি হয়েছি। সুদেষ্ণাদিরা কিন্তু কারও ঘাড়ে কোনও অভিযোগ চাপিয়ে দিচ্ছেন না। উল্টে এটাই দেখাতে চলেছেন, মা-বাবারও নিজস্ব জীবন থাকে। বিশেষ করে মায়ের। তিনি চাইলে নিজের পেশার প্রতি বেশি মনোযোগী হতেই পারেন। প্রয়োজনে স্বামী-সন্তানকে ছেড়েও যেতে পারেন। সেটা হলে কী ঘটতে পারে, তা নিয়েই এই গল্প।’’

পায়েল নিজের জীবনের উদাহরণও দিয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর মা-বাবা চাকরি করতেন। তাই বড় হয়েছেন ঠাকমার কাছে। পাশাপাশি, তিনি এ-ও বুঝতেন তাঁর ভালর জন্যই মা-বাবা চাকরিতে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন