Entertainment News

কংগ্রেসের প্রবল বিক্ষোভ, বন্ধ হয়ে গেল ইন্দু সরকারের সাংবাদিক বৈঠক

পর পর দু’দিনই পরিস্থিতি নাকি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে, যে বৈঠক বাতিল করা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না বলে জানিয়েছেন পরিচালক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ১৪:১৯
Share:

‘ইন্দু সরকার’ ছবির পোস্টার। ছবি: মধুর ভাণ্ডারকরের টুইটার পেজের সৌজন্যে।

শনিবার পুণে এবং রবিবার নাগপুর। কংগ্রেস কর্মীদের প্রবল তাণ্ডবে পরপর দু’দিন বন্ধ হয়ে গেল ‘ইন্দু সরকার’ ছবির সাংবাদিক বৈঠক। ‘ইন্দিরা গাঁধী অমর রহে’ স্লোগান তুলে দিনভর ধর্না, বিক্ষোভের জেরে কার্যত হোটেলবন্দি থাকতে হল ছবির পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকর-সহ গোটা ইউনিটকে।

Advertisement

কিন্তু বৈঠক বাতিল করতে হল কেন?

মধুরের অভিযোগ,পুণের যে হোটেলে তিনি তাঁর দল নিয়ে উঠেছিলেন, সেই হোটেলের লবিতে সকাল থেকেই কংগ্রেসের কর্মীরা জমায়েত শুরু করেন। দিন গড়াতেই সেটা রূপ নেয় প্রবল বিক্ষোভের। পরিচালকের প্রশ্ন, ‘‘বারবার বিক্ষোভকারীদের বোঝাই, ছবির ৭০ শতাংশই গল্প। মাত্র ৩০ শতাংশের সঙ্গে বাস্তবের মিল রয়েছে। সেন্সর বোর্ড ছবিতে ১৬টি জায়গায় ইতিমধ্যেই কাঁচি চালিয়েছে। ছবি এখনও মুক্তি পায়নি, শুধু ৩ মিনিটের ট্রেলার দেখে এমন ভাবে প্রতিবাদ কেন করা হচ্ছে?” সোশ্যাল মিডিয়ার সেই বিক্ষোভের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন মধুর।

Advertisement

হোটেলের লবিতে ঢুকে কংগ্রেস কর্মীদের ধর্না-স্লোগান। ছবি: মধুর ভাণ্ডারকরের টুইটার পেজের সৌজন্যে।

আরও পড়ুন, বলছেন তিনি ‘সঞ্জয়-কন্যা’, প্রশ্ন ‘ইন্দু’তে

কংগ্রেসের বিক্ষোভকারীদের পাল্টা যুক্তি, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেছি, মধুর ভাণ্ডারকরের সঙ্গে আলোচনা করতেই এখানে আসা। ছবিতে ইন্দিরা গাঁধীকে নিয়ে যে বিতর্কিত দৃশ্যগুলি রয়েছে তা বাদ দিতে হবে পরিচালককে।’’

মধুর অবশ্য বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেননি। তাঁর দাবি, “জরুরি অবস্থা নিয়ে নয়, ছবিটি জরুরি অবস্থার পটভূমিতে এক দম্পতির গল্প। আমরা যথেষ্ট গবেষণা করেই ছবিটি তৈরি করেছি। কংগ্রেস কর্মীদের কাছে এই আচরণ কাম্য নয়।’’

পর পর দু’দিনই পরিস্থিতি নাকি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে, যে বৈঠক বাতিল করা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না বলে জানিয়েছেন পরিচালক।

দেখুন, পুণের হোটেলের বাইরে কংগ্রেসের বিক্ষোভের ভিডিও

ট্রেলর মুক্তির পর থেকেই মধুর ভাণ্ডারকরের ‘ইন্দু সরকার’-এর গায়ে লেগে গিয়েছে রাজনৈতিক রং।

দেখুন, নাগপুরে কংগ্রেসের বিক্ষোভের ভিডিও

আসলে, সত্তরের দশকে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থার সময়ে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের টুকরো টুকরো ছবি ফুটে উঠেছে এই ফিল্মে। ইন্দু সরকার নামে প্রতিবাদী এক নারীর জবানিতে তা তুলে ধরেছেন পরিচালক। এই কাহিনি বলতে গিয়ে, কেন্দ্রে সেই সময়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস এবং গাঁধী পরিবারের প্রসঙ্গও এসেছে। তবে ফিল্মে তার ‘ভুল ব্যাখ্যা’ হয়েছে বলে প্রথম থেকেই তীব্র প্রতিবাদের পথ নিয়েছে কংগ্রেস।

এই পরিস্থিতিতে ২৮ জুলাই ছবি মুক্তি পাওয়া নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন