ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে তাঁর নতুন ছবি
Ananya Panday

Ananya Panday: ‘মা-বাবা আমার বড় চিয়ারলিডার’

শকুন এবং ওঁর সহ-লেখিকা আয়েশা যে ধরনের সংলাপ লেখেন, অভিনেত্রী হিসেবে সেই সংলাপগুলোর গুরুত্ব বুঝতে পারি।

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৪৭
Share:

অনন্যা পাণ্ডে।

প্র: ‘গেহেরাইয়াঁ’ কি আপনার অভিনীত এখনও অবধি সবচেয়ে সাহসী চরিত্র?

Advertisement

উ: সাহসী বলব না। কিন্তু নিঃসন্দেহে খুব পরিণত চরিত্র। এখনও পর্যন্ত আমার করা সবচেয়ে ইমোশনাল চরিত্র। প্রথম বার চরিত্রটা শোনার পরে ছবি নিয়ে আমার মনে কোনও সংশয় ছিল না। কিন্তু কী ভাবে আবেগগুলো ফুটিয়ে তুলব, তা নিয়ে টেনশন ছিল। অনেক ওয়ার্কশপ করেছি। পরিচালক শকুন বত্রার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা আমার কাজটাকে সহজ করেছে।

প্র: শকুন বত্রার সঙ্গে অনেক বছর ধরেই কাজ করতে চাইছিলেন?

Advertisement

উ: শকুনের ‘কপূর অ্যান্ড সন্স’ এবং ‘এক ম্যায় অওর এক তু’ আমার খুব পছন্দের ছবি। ওঁর ছবির চরিত্রগুলো আমাকে আকৃষ্ট করে। ওঁর ছবির ক্লাইম্যাক্স সব সময়ে আনন্দের হয় না, ছকভাঙা হয়। সিনেমাকে অযথা গ্লসি করার চেষ্টা করেন না। ‘কপূর অ্যান্ড সন্স’-এ পাইপ সারানোর দৃশ্যটা আমাদের পরিবারের চেনা ছবি। শকুন এবং ওঁর সহ-লেখিকা আয়েশা যে ধরনের সংলাপ লেখেন, অভিনেত্রী হিসেবে সেই সংলাপগুলোর গুরুত্ব বুঝতে পারি।

প্র: দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

উ: ছবিতে আমরা দুই বোনের চরিত্রে। পর্দার বাইরেও আমাদের সম্পর্ক ঠিক এই রকমের। দীপিকা ওর বোন অনিশাকে ‘অ্যানি’ বলে ডাকে, আর আমাকেও একই নামে ডাকে। দীপিকা খুব পরিশ্রমী। সিনিয়র হয়েও ওয়ার্কশপ করতে পিছপা হয় না। দীপিকার কাজ, ছবির নির্বাচন আমাকে অনুপ্রাণিত করে।

প্র: ‘গেহেরাইয়াঁ’র সেটে আপনাদের নাকি পরস্পরের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব হয়েছে। এটা কি সত্যি?

উ: (হেসে) আসলে আর কোনও উপায় ছিল না। কোভিড পরিস্থিতিতে বাবল সেটআপে কাজ করেছি। কোথাও যাওয়া বারণ ছিল। আমাদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে, যেখানে এখনও জোকস শেয়ার করি। আমাদের সকলের সেন্স অব হিউমর খুব ভাল। আমি আর সিদ্ধান্ত (চতুর্বেদী) ভীষণ ফিল্মি। আমি করিনা কপূর, ও শাহরুখ খানের খুব বড় ফ্যান। শুটিংয়ের ফাঁকে আমরা ওঁদের ছবির দৃশ্যের নকল করতাম।

প্র: আপনার জীবনসঙ্গীর মধ্যে কোন কোন গুণ দেখতে চাইবেন?

উ: আমার কাছে ভালবাসা হল বন্ধুত্ব। শাহরুখ খানের ফিল্মের ডায়লগের মতো ‘পেয়ার দোস্তি হ্যায়।’ মা আর বাবার সম্পর্ক আমার কাছে আদর্শ সম্পর্ক। ওঁদের মধ্যে ঝগড়াও হয় কিন্তু ভালবাসা অপরিসীম। বাবা আমাকে রোজ খুব হাসায়। আমি চাইব, আমার লাইফ পার্টনার আমাকে বাবার চেয়েও বেশি হাসাবে।

প্র: অনন্যার জীবনে সবচেয়ে কড়া সমালোচক কে?

উ: মা-বাবা আমার সমালোচকের চেয়েও বড় চিয়ারলিডার (হাসি)। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমালোচক, আমার ছোট বোন রাইসা। ও পরিচালক হতে চায়। ও আমার কাজের সৎ ফিডব্যাক দেয়।

প্র: বাবা-মায়ের জন্য এই মুহূর্তে অনন্যা কী করতে চান?

উ: শুধু পার্থিব বস্তু দিয়ে নয়, নিজের কাজ দিয়ে ওঁদের খুশি করতে চাই। আমি খুশি থাকলে, ওঁরাও খুশি থাকেন। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছি, সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। সেটা মা-বাবা খুব উপভোগ করেন। নিজের সাফল্য ওঁদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন