করিশমা কপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কপূর আবার বিয়ে করলেন।
এই নিয়ে তৃতীয়বার, ডিভোর্সের এক বছর না গড়াতেই! পাত্রী প্রিয়া সচদেব, দিল্লির এক মডেল, হাই প্রোফাইল পার্টিতে চেনা মুখ। প্রিয়ারও অবশ্য এটি দ্বিতীয়বার বিয়ে। মার্কিন মুলুকের ধনী হোটেল ব্যবসায়ী বিক্রম চাটওয়াল ছিলেন তাঁর প্রথম স্বামী। দিন তিনেক আগে দিল্লিতে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেন সঞ্জয় ও প্রিয়া। কিছু দিন পর নিউইয়র্কে রিসেপশন পার্টি দেবেন বলে খবর।
সঞ্জয় এবং প্রিয়া যে তাঁদের বিয়ে নিয়ে একেবারেই চুপচাপ ছিলেন, যাকে বলে কাকপক্ষীও টের পায়নি, তার যথেষ্ট কারণও আছে। প্রিয়ার সঙ্গে দিল্লিরই ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট সঞ্জয়ের সম্পর্কটা করিশমা কপূরের সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার অনেক আগে থেকেই শুরু। নিউ ইয়র্কেই এক পার্টিতে তাঁদের আলাপ এবং সম্পর্কের সূত্রপাত। দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী করিশমা কপূরের সঙ্গে সঞ্জয়ের বিবাহিত জীবন কোনও দিনই সুখের হয়নি। তার পর এক সময় অশান্তি চরমে ওঠায়, মেয়ে সামাইরা ও ছেলে কিয়ান রাজের হাত ধরে করিশমা স্বামীকে ছেড়ে পাকাপাকিভাবে মুম্বইয়ে চলে আসেন। ডিভোর্সের সময় করিশমার পক্ষ থেকে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল অ্যাডাল্টারির। সেটা এই প্রিয়া সচদেবের কারণেই। এমনকী, করিশমা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের অভিযোগও এনেছিলেন। উলটো দিকে সঞ্জয় দাবি করেছিলেন, শুধু টাকার কারণেই করিশমা তাঁকে বিয়ে করেছেন। শোনা যায়, করিশমার উকিল ডিভোর্সের সময় একেবারে ছিটকে যাওয়ার মতো অ্যালিমনি দাবি করেছিলেন। ২০১২ থেকে আলাদা থাকলেও সব কিছু মিটে, অবশেষে গত বছরই করিশমা ও সঞ্জয়ের ডিভোর্স হয় এবং দুই সন্তানের কাস্টডি পান করিশমা। এই পুরো সময়টায় প্রিয়া নাকি সঞ্জয়ের সুখদুঃখের সঙ্গী হিসেবে পাশে ছিলেন।
করিশমার সঙ্গে সন্দীপ।
সময় থেমে থাকে না। করিশমার ক্ষেত্রেও থাকেনি। তিনিও নতুন করে প্রেমে পড়েছেন। মুম্বইয়েরই এক ব্যবসায়ী সন্দীপ তোশনিওয়ালের। যদিও সম্পর্কের সত্যতা কোনও পক্ষই স্বীকার করেননি। কিন্তু করিনা কপূরের বাড়িতে বা রেস্তরাঁয় ডিনার করতে বহুবারই তাঁদের দেখা গিয়েছে। রণধীর কপূরের ৭০তম জন্মদিনের পার্টিতে করিশমা গেস্টদের সঙ্গে সন্দীপের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, তাঁরা নাকি এখন একসঙ্গে থাকার জন্য বাড়িও খুঁজছেন এবং বিয়ের কথাও ভাবছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা সঞ্জয় ও প্রিয়ার বিয়ের ছবি।
তবে এখানেও এক সমস্যা। তাঁদের বিয়েতে বাধা হল, সন্দীপের এখনও ডিভোর্স না পাওয়া। সন্দীপের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী সেই ‘ব্যভিচার’-এর অভিযোগ এনেছেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে করিশমার সম্পর্ক রয়েছে বলে। সন্দীপেরও দুটি সন্তান রয়েছে। সত্যি, হিস্ট্রি রিপিটস্ ইটসেল্ফ! যাই হোক, তোশনিওয়ালের উকিলের নাকি দাবি, সন্দীপের স্ত্রী’র মানসিক ভারসাম্য ঠিক নেই, তাই তিনি ডিভোর্স চান। করিশমার সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও সম্পর্ক নেই।
সত্যি-মিথ্যে প্রমাণের দায় সময়ের। কত দিনে সব ঠিক হয়ে করিশমা আবার থিতু হবেন, তা ঈশ্বরই জানেন! তবে আমাদের তরফ থেকে করিশমাকে আগাম শুভেচ্ছা!