কবে প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর পর বড়দিন। বছরের শেষ উৎসব। বাঙালির উদ্যাপন মানেই বাংলা ছবির বড় ভূমিকা। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনেও সেই রীতি অব্যাহত। শারদীয়ার মতোই লম্বা তালিকা। ছুটির আমেজ গায়ে মেখে মুক্তির অপেক্ষায় পাঁচটি ছবি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ‘কাকাবাবু’, দেবের ‘প্রজাপতি ২’, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’, অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ এবং অরিন্দম শীলের ‘মিতিন মাসি’।
তা হলে কি আরও একবার প্রযোজক আর হলমালিকদের কাজিয়া দেখবে টলিউড? এ বছরের পুজো যার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন!
ইতিমধ্যেই নাকি দফায় দফায় রাজ্য সরকারের ঠিক করে দেওয়া ‘স্ক্রিনিং কমিটি’র বৈঠক হয়েছে প্রযোজক, পরিবেশ এবং হলমালিকদের মধ্যে। সূত্রের খবর, এখনও কোনও সমাধান হয়নি। এ দিকে নতুন গুঞ্জন, প্রযোজক নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সম্ভবত তাঁদের ছবি ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’-এর মুক্তির তারিখ বদলাতে পারেন। সেই অনুযায়ী ছবিটি মুক্তি পেতে পারে ২৩ ডিসেম্বরের বদলে ১৯ ডিসেম্বর।
তেমনই কি কিছু ঘটছে? জানতে আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করেছিল ছবির অন্যতম কাহিনিকার এবং চিত্রনাট্যকার জ়িনিয়া সেনের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, “খুব তাড়াতাড়ি ‘স্ক্রিনিং কমিটি’র সম্ভাব্য বৈঠক। সেখানেই ক’টি ছবি মুক্তি পাবে এবং কবে মুক্তি পাবে, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।” তিনি জানান, সে দিন কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই তাঁরা মানবেন। কমিটি ছবিমুক্তি এগোতে বললে তাঁরা এগোবেন।
বাকি চারটি ছবি ভবিষ্যৎ কী? ছবি: সংগৃহীত।
এ দিকে টলিউডের একাংশের ভবিষ্যদ্বাণী, ছবিমুক্তির দ্বন্দ্ব এড়াতে নাকি এ বছরের শীতে পাঁচটি ছবি মুক্তি না-ও পেতে পারে। বদলে তিনটি ছবির মুক্তির সম্ভাবনা নাকি প্রবল। তা হলে শীতে মোট ক’টি ছবি মুক্তি পাবে? সেটা স্ক্রিনিং কমিটির আগামী বৈঠক ঠিক করে দেবে।