তর্কাতীত ভাবে অলিম্পিকের ইতিহাসে সেরা ৪৫ মিনিট উপহার দিয়েছেন জেসি ওয়েন্স। সালটা ছিল ১৯৩৬। অ্যাডলফ হিটলারের নাত্সি জমানায় বার্লিনে বসেছে অলিম্পিকের আসর। সে বার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে চারটি সোনা জয় করে ইতিহাস গড়েছিলেন জেসি। হিটলারের ভ্রূকুটি অগ্রাহ্য করে আন্ডারডগের তকমা মুছেছিলেন তিনি। কিন্তু, জেসি ওয়েন্সের গল্প সেখানেই থেমে থাকেনি। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে উঠে এসেছিলেন তিনি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইতিহাসের পাতায় জেসির বীরগাথা তাই কিংবদন্তি। এ বার সেই রিয়েল হিরোর বায়োপিক দেশীয় পর্দায় আসছে, আগামী ১১ মার্চ।
তবে স্টিফেন হপকিন্সের ছবি ‘রেস’ শুধুমাত্র জেসির বিশ্বরেকর্ড গড়ার কাহিনি নয়। তা ছাপিয়ে আরও অনেক কিছু। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এ ছবি অবশ্য মার্কিন মুলুকে রিলিজ করেছে। আর ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে ‘রেস’। অনেকে বলছেন, আগামী বছরের অস্কারে এখনই নাম লিখিয়ে ফেলেছে এটি। তবে সে তো বক্সঅফিস আর পুরস্কারের গল্প। আসলে ‘রেস’ এই সময়ের কথা বলছে। বিশ্ব জুড়ে যখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই জরুরি হয়ে উঠছে। প্রিডেটর-২ বা ব্লোন অ্যাওয়ে ফিল্মের মতো বাজার-সফল ছবির পর পরিচালক স্টিফেন হকিন্স এ বার একটু স্বাদ বদল করেছেন তাঁর কাহিনি বাছাইয়ে। কানাডার অভিনেতা স্টিফেন জেমস জেসির ভূমিকায়। এর আগে যাঁকে দেখা গিয়েছে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের বায়োপিক সেলমা-তে জন লিউইসের চরিত্রে।
আরও পড়ুন, মুক্তি পেতেই হিট ‘ডার্ক চকোলেট’-এর ট্রেলার
জেসি ওয়েন্সের বর্ণময় জীবনকে কি সেলুসয়েডের পর্দায় পুরোপুরি তুলে ধরা সম্ভব?
পরিচালক স্টিফেন হকিন্স স্বীকার করেছেন, মাত্র দু’ঘণ্টার ফ্রেমে জেসির জীবনকে পুরোপুরি বন্দি করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘১৯৩৪-৩৬ সালের মধ্যে ট্যালেন্টেড অ্যাথলিট থেকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নে পরিণত হন জেসি। সেই সময়কেই এ ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল, এর একটা নাটকীয় আবেদনও রয়েছে। কারণ, সে সময়ই ইউরোপ জুড়ে হিটলারের হাত ধরে ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।”
দেখুন ট্রেলার