যিশু সেনগুপ্ত
দুই চ্যানেলের ইঁদুর-দৌড়ে সাধারণ মানুষের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত। টিআরপি বাড়ানোর জন্য চ্যানেল কীভাবে মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, তার প্রেক্ষাপটে ছবি করছেন পরিচালক ইন্দ্রনীল ঘোষ। শুধুই বিনোদন নয়, শিল্প হিসেবে ছবিকে দেখতে চাইছেন ইন্দ্রনীল। শীর্ষ রায়ের ক্যামেরায় ধরা থাকবে জীবনের কাছ থেকে দেখা পথচলতি মানুষের প্রেম-অপ্রেমের সম্পর্ক। ‘‘এ রকম তো হতেই পারে বিবাহিত কোনও পুরুষ অন্য এক মহিলার প্রেমে পড়লেন। এ ক্ষেত্রে এই প্রেমটা যেমন স্বাভাবিক, তেমনই তার স্ত্রীর খারাপ লাগাও স্বাভাবিক। এই অন্তর-দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে ছবি কোনও একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছবে।’’ বলছেন পরিচালক ইন্দ্রনীল।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় আর যিশু সেনগুপ্তের জুটির সঙ্গে এই ছবিতে চ্যানেল কর্তা হিসেবে থাকছেন অঞ্জন দত্ত। যিশু ফোটোগ্রাফারের চরিত্রে অভিনয় করছেন। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় রিপোর্টারের ভূমিকায়। থ্রিলার নয়, অথচ থ্রিলারের ট্রিটমেন্টে গল্প বলা হবে ছবিতে। অঙ্কিতা চক্রবর্তীকে দেখা যাবে একটি গুরুত্বপূ্র্ণ চরিত্রে।
ছবির শেষেই লুকিয়ে সব রহস্য, তাই শেষ নিয়ে কুলুপ এঁটেছেন পরিচালক। ‘এগারো’, ‘পাতালঘর’, ‘যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল’ ছবির চিত্রনাট্যকার দীপান্বিতা ঘোষ মুখোপাধ্যায় ‘হেডলাইন’-এ বলতে চেয়েছেন সাধারণ মানুষের কথা।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
‘‘কোনও রকম জটিল চরিত্র বা রূপকের সাহায্যে কিছু বলতে চাইনি। সব ধরনের মানুষের নিজেকে খুঁজে পাওয়ার ছবি ‘হেডলাইন’। অভিনেতারাই এই ছবির সম্পদ,’’ বললেন দীপান্বিতা।
রাজা নারায়ণ দেবের সংগীতে ‘হেডলাইন’ কতটা খবরের হেডলাইন হবে সেটাই দেখার। শিল্পের বাস্তব খবরের কাগজের বাস্তবের চেয়ে কি আরও জোরালো?
স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়