Amitabh Bachchan-Juhi Chaturvedi

‘পিকু’র চিত্রনাট্য শুনে অভিনয় করতে রাজি হননি অমিতাভ, কী ভাবছিলেন তিনি?

‘পিকু’র অনেকটা জায়গা জুড়ে ছিল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। যে রোগে আক্রান্ত ছিল ভাস্কর। সেই চরিত্র করতে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না অমিতাভ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৬
Share:

‘পিকু’-র চিত্রনাট্যের জন্য জুহি জিতে নেন সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের জাতীয় পুরস্কার, অমিতাভ সেই মঞ্চেই পান সেরা অভিনেতার স্বীকৃতি। ছবি: সংগৃহীত।

যে চরিত্রেই অভিনয় করেন, দর্শকের মনে পাকাপাকি দাগ কেটে যান অমিতাভ বচ্চন। গত কয়েক বছরে মুক্তি পাওয়া বহু ছবির তালিকায় বিশেষ ভাবে জায়গা করে নিয়েছে ‘পিকু’। অমিতাভকে ছাড়া ভাস্করের চরিত্র কতটা জনপ্রিয় হত, তা বলা মুশকিল। ছবির পরতে পরতে যে আবেগ তার বেশিটাই ফুটিয়ে তুলেছেন অমিতাভ। কিন্তু যখন এ ছবির প্রস্তাব তাঁকে দেওয়া হয়েছিল, একেবারেই রাজি হননি ‘বিগ বি’। কেন?

Advertisement

‘পিকু’র ট্যাগলাইনই ছিল ‘বেগ থেকেই আবেগ’। ছবির অনেকটা জায়গা জুড়ে ছিল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। যে রোগে আক্রান্ত ছিল অমিতাভ বচ্চন অভিনীত চরিত্র ভাস্কর। সেই কারণেই প্রাথমিক ভাবে চরিত্রটিতে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না অমিতাভ।

ছবির চিত্রনাট্যকার জুহি চতুর্বেদী সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ্যে আনেন। জানান, ‘পিকু’-র ভাস্কর ও ‘গুলাবো সিতাবো’-র মির্জার চরিত্র দু’টি তিনি অমিতাভকে মাথায় রেখেই লিখেছিলেন। জুহির কথায়, “সাধারণত কোনও বিশেষ অভিনেতার কথা মাথায় রেখে আমরা চিত্রনাট্য লিখি না। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল অমিতাভ ছাড়া আর কোনও অভিনেতা নেই যিনি এই চরিত্র দু’টি এমন দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।”

Advertisement

তাঁর মতে, প্রত্যেক অভিনেতার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। চিত্রনাট্য লেখার ক্ষেত্রে সেই ভাবনা প্রভাব ফেলে। কিন্তু অমিতাভের ক্ষেত্রে অন্য ব্যাপার। এমন কোনও বিষয় নেই যা তিনি জানেন না বা যে বিষয়ে তাঁর কৌতূহল নেই।

অমিতাভের এই বিরল গুণটি সম্পর্কে তিনি ভাল করে জেনেছেন ‘শুবাইট’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে। তিনি বলেন, “ছবিটি এখনও মুক্তি পায়নি। আমি দেখেছি, এখনও তিনি কতটা সচল। ২০০৮ সাল। প্রবল ঠান্ডায় আমরা শুটিং করছিলাম, পঁয়ত্রিশ বছরের যুবকের মতো কাজ করছিলেন অমিতাভ।”

এ সব দেখেই সিদ্ধান্তে এসেছিলেন জুহি, ‘পিকু’ অমিতাভকে ছাড়া হবে না। ছকবাঁধা চিত্রনাট্য ছিল না এ ছবিতে। বহু স্তর, সবটাই নিরীক্ষামূলক। সে অর্থে কোনও নায়ক-নায়িকা কিংবা নায়কোচিত মুহূর্তও ছিল না।

যদিও প্রাথমিক ভাবে অমিতাভ ‘না’ বলে দেন। তাঁর ভাবনা ছিল, “লোকে কী ভাববে এ সব বিষয়ে কথা বললে?”

তিনি চিত্রনাট্য পড়তে বলেন আবার। কিছু মুহূর্ত তাঁর সামনে অভিনয় করে দেখানো হলে ভাবটা বুঝতে পারেন, তখন সম্মত হন অভিনেতা।

জুহি বলেন, ‘‘পিকু’-র পরে আমার কাজের ধারা তিনি বুঝতে পারেন। তাই ‘গুলাবো সিতাবো’-তে কাজ করতে দ্বিধা করেননি তিনি।”

‘পিকু’- র চিত্রনাট্যের জন্য জুহি জিতে নেন সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের জাতীয় পুরস্কার, অমিতাভ সেই মঞ্চেই পান সেরা অভিনেতার স্বীকৃতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন