Sunjay Kapur Death

ময়নাতদন্তের পর লন্ডন থেকে ছাড়া হবে সঞ্জয়ের দেহ, প্রাক্তন স্বামীর অপেক্ষায় করিশ্মা কপূর

বিভিন্ন নিয়ম-নীতি পেরিয়ে লন্ডন থেকে দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে আসবে মরদেহ। খবর, দুই সন্তানকে নিয়ে উপস্থিত থাকবেন করিশ্মা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ১০:৪৮
Share:

সঞ্জয় কপূরের শেষকৃত্যে করিশ্মা কপূর। ছবি: ফাইল চিত্র।

প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কপূরের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন করিশ্মা কপূর। খবর, দুই সন্তানকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছোবেন তিনি। জানা গিয়েছে, লন্ডনে ময়নাতদন্তের পর দিল্লিতে আনা হবে শিল্পপতির মরদেহ। প্রসঙ্গত, মার্কিন মুলুকে পোলো খেলার সময় আচমকা গলায় মৌমাছি ঢুকে যায়। তার পরেই শ্বাসরোধ হয়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন তিনি। লন্ডনে সঞ্জয়ের নাগরিকত্ব থাকলেও তিনি দিল্লিতে জন্মেছেন, বড় হয়েছেন। তাই নিজের দেশেই শেষকৃত্য হবে বলে জানা গিয়েছে। যেহেতু ভারতে আর নাগরিকত্ব নেই তাঁর, তাই সঞ্জয়ের দেহ আনতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তাঁর পরিবারকে। সম্ভবত এই কারণেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে।

Advertisement

প্রয়াত শিল্পপতির মরদেহ ভারতে আনা প্রসঙ্গে তাঁর বর্তমান শ্বশুরমশাই অশোক সচদেব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। যাবতীয় প্রক্রিয়া এবং বৈধ কাগজপত্র হাতে পেলেই সঞ্জয়ের দেহ দিল্লিতে নিয়ে আসা হবে। প্রসঙ্গত, করিশ্মার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর সঞ্জয় মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়া সচদেবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে়ন। পাঁচ বছর সম্পর্কে থাকার পর দিল্লির বাসভবনে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চার হাত এক হয়। সঞ্জয়-প্রিয়ার এক পুত্রসন্তান, নাম আজ়ারিয়াস কপূর।

২০০৩ সালে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল সঞ্জয়-করিশ্মার। শোনা যায়, এই বিয়েতে নাকি তীব্র আপত্তি ছিল করিশ্মার বাবা রণধীর কপূরের। ২০১৪-য় দম্পতি বিচ্ছেদের নেন। তত দিনে করিশ্মা সামাইরা ও কিয়ান— দুই সন্তানের মা। অনেক কাদা ছোড়াছুড়ির পর ২০১৬-য় পাকাপাকি বিচ্ছিন্ন হন তাঁরা।

Advertisement

মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও সমাজমাধ্যমে মতামত জানিয়েছিলেন সঞ্জয়। লেখেন, ‘পৃথিবীতে আপনার সময় নির্দিষ্ট। তাই ‘কী হতে পারত’— এই ভাবনা দার্শনিকদের হাতে ছেড়ে দিন। ‘কেন হল না’— এই বিষয়ে মনোযোগী হন।’ প্রয়াত শিল্পপতির এই বার্তা ভাইরাল। পাশাপাশি, তিনি অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত যাত্রীদের উদ্দেশেও শোকবার্তা ভাগ করে নিয়েছিলেন। তাঁরও যে সময় শেষ, সঞ্জয় কেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ এবং পরিচিতেরাও ঘুণাক্ষরে টের পাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement