গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বাবার কোনও প্রভাব নেই ক্যাটরিনা কইফের জীবনে। বাবার সঙ্গে শেষ দেখা হওয়ার স্মৃতিও খুব আবছা। মায়ের ছত্রছায়ায় বড় হয়েছেন অভিনেত্রী। সেই জন্যই নাকি ক্যাটরিনা তুলনায় বেশি সংবেদনশীল ও আন্তরিক। বি-টাউনে এমনই শোনা যায় অভিনেত্রী সম্পর্কে। নিজের সন্তানকেও কি একই ভাবে বড় করবেন তিনি? উঠছে সেই প্রশ্ন।
৭ নভেম্বর পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন ক্যাটরিনা কইফ ও ভিকি কৌশল। ভিন্ন সংস্কৃতিতে বড় হলেও, ভিকির পরিবারের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন ক্যাটরিনা। ভিকি বড় হয়েছেন মুম্বইয়ের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। ভিকির বাবা পেশায় লড়াইয়ের দৃশ্যের পরিচালক। মা গৃহবধূ। অন্য দিকে একাকী মায়ের কাছে বড় হয়েছেন ক্যাটরিনা। সাত বোনের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বড়।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে ক্যাটরিনা বাবার প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন। খুব ছোটবেলাতেই মা ও বাবাকে আলাদা হয়ে যেতে দেখেছিলেন ক্যাটরিনা। ক্যাটরিনার মা পেশায় আইনজীবী। কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে হত তাঁকে। ফলে ক্যাটরিনা ও তাঁর বোনেরাও ঘুরে বেড়াতেন মায়ের সঙ্গে। দেশ-বিদেশের মানুষদের দেখতেন। মা কী ভাবে একা হাতে সবটা সামলান, সেই সব দেখে বড় হয়েছেন অভিনেত্রী। তাই অনায়াসেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমার উপর আমার বাবার কোনও প্রভাব নেই। উনি আমাদের পরিবারের অংশই ছিলেন না। আমি খুব ছোট থাকতেই আমার বাবা-মা আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। তার পর থেকে আর কখনও বাবার সঙ্গে দেখা হয়নি।”
মায়ের থেকে শিখেছেন অনেক কিছু। তবে একটি বিষয় বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছিলেন ক্যাটরিনা। অন্যরা কী করছেন, কেন করছেন, সেগুলি নিয়ে বাঁকা চোখে তাকানো উচিত নয়, এটাই মায়ের থেকে শিখেছিলেন ক্যাটরিনা। অভিনেত্রীর কথায়, “পুরোপুরি ভাবে ‘নন জাজমেন্টাল’ হতে শিখেছি আমি মায়ের থেকেই।”
ক্যাটরিনা জানিয়েছেন, তাঁর ছোটবেলা কেটেছে হংকং, জাপান, চিন, ইউক্রেন, রোমানিয়া, ফ্রান্স, আমেরিকা, ইংল্যান্ডে। তাই অভিনেত্রী বলেছিলেন, “আমাকে যে কোনও জায়গায় রেখে দিলেই আমি মানিয়ে নিতে পারব, কারণ আমি ভিন্ন সংস্কৃতি দেখে বড় হয়েছি।”