‘ধূমকেতু’ মুক্তির আগে কী ভাবছেন দেব, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়? ছবি: ফেসবুক।
১০ বছর পরে দেব-শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত ‘ধূমকেতু’ মুক্তি পাচ্ছে। ১৪ অগস্ট দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। দুই তারকা অভিনেতার অনুরাগীরা আনন্দে বিহ্বল। উত্তেজনায় ফুটছেন টলিউডের প্রায় প্রত্যেকে। নায়ক, পরিচালক, প্রযোজকেরও কি একই অবস্থা? ছবিমুক্তির দিন যত এগিয়ে আসছে তাঁদের হৎস্পন্দনও কি বাড়ছে?
কেক কেটে উদ্যাপনে রানা সরকার, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব।
আনন্দবাজার ডট কম কথা বলেছিল দেব, ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রযোজক রানা সরকারের সঙ্গে। কৌশিক স্বীকার করে নিয়েছেন, প্রত্যেকটি ছবি মুক্তির আগে তিনি চিন্তায় ভোগেন। এ বার সেটা আরও বেশি হচ্ছে। রানা জানিয়েছেন, দেব-শুভশ্রী অনুরাগীদের উচিত এই ছবি হল ভরিয়ে দেখা। কারণ, ১০ বছর ধরে এই ছবির জন্য তিনি সমাজমাধ্যমে অকারণ কুকথা শুনেছেন। তার পরেই তাঁর রসিকতা, “কথা দিচ্ছি, ছবি ৩০ কোটি টাকা বাণিজ্য করলে ‘ধূমকেতু ২’ বানাব।”
দেব এবং প্রসেনজিতের সঙ্গে রুদ্রনীল।
যাঁদের ঘিরে এত উন্মাদনা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম এবং ছবির নায়কেরও কি একই বক্তব্য? দেব ইতিমধ্যেই একটি লক্ষ্য স্থির করেছেন। তাঁর নজর, ঘণ্টায় ১০ হাজার টিকিট বিক্রি করা!
সৃজিত কখনও প্রসেনজিৎ, কখনও সুস্মিতার সঙ্গে।
রবিবার ছিল রানার প্রযোজনা সংস্থার ১৫ বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে এক হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত মোহতা, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, রাজনীতিবিদ-অভিনেতা পার্থ ভৌমিক, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সোমলতা আচার্য, পার্নো মিত্র, ঋদ্ধিমা ঘোষ, গৌরব চক্রবর্তী, ইন্দ্রাশিস রায় বা স্বস্তিকা দত্ত, দিব্যজ্যোতি দত্ত, অঙ্কিতা মল্লিকের মতো ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখেরাও। প্রযোজনা সংস্থার জন্মদিন এবং ‘ধূমকেতু’র সাফল্য কামনা করে এক জোড়া কেক কাটা হয়। সৃজিত এ দিনও অনুষ্ঠানে পা রাখেন ‘বন্ধু’ সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ছবি তোলার পাশাপাশি একসঙ্গে সময়ও কাটান তাঁরা।
গৌরব চক্রবর্তী, ঋদ্ধিমা ঘোষ, ইন্দ্রাশিস রায়।
ঘড়ির কাঁটা যখন ১১টা ছুঁইছুঁই তখন উদ্যাপনে যোগ দিলেন ঘাটালের সাংসদ এবং প্রযোজক-অভিনেতা দেব। কৌশিক, পরমব্রত, রুদ্রনীল, প্রযোজককে ডেকে নিয়ে কেক কাটলেন হাসিমুখে। তার পরেই বললেন, “নতুন ছবি ‘ধূমকেতু’র অগ্রিম বুকিং ভালই হচ্ছে। কাজের ফাঁকে নজর রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু আরও ভাল ফলাফল হতে হবে।” তিনি স্পষ্ট জানান, যে দিন ঘণ্টায় ১০ হাজার টিকিট বিক্রি হবে, সে দিন খুশি হবেন তিনি। দেবের কথায়, “এটা শুধুই ‘ধূমকেতু’র ক্ষেত্রে নয়। সব বাংলা ছবির ক্ষেত্রেই যে দিন একই ঘটনা ঘটবে সে দিন বুঝব, ইন্ডাস্ট্রির জন্য কিছু করতে পেরেছি।”
উদ্যাপনের ফাঁকে শ্রীকান্ত মোহতা, রানা সরকার, জয়তী চক্রবর্তী, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।
পরিচালক কৌশিক বলেন, “ছবিমুক্তির আগে প্রচণ্ড চিন্তায় ভুগি। এই ছবির ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি। ১০ বছরের প্রতীক্ষা ছিলই। যখন আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম তখন প্রত্যাশাপূরণ হচ্ছে। তাই চিন্তা বলুন বা উত্তেজনা— দুটোই বেশি হচ্ছে।” এর জেরেই রাতের ঘুম বা খাওয়া—দুটোই প্রায় বন্ধ হতে বসেছে তাঁর। বললেন, “বেশি চিন্তায় ভুগলে খেতে পারি না। ভোর ৪টে পর্যন্ত জেগে বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট দেখছি। টিকিট বিক্রির পরিমাণ বাড়ছে কি না বা কতটা বাড়ল, বোঝার চেষ্টা করছি।”