কবিতা ধরা দেবে কোলাজে, নানা ইমেজে।
কবিতা মানেই আর ভারী ভারী শব্দ বা কথা নয়। আজকের দুনিয়ার সন্ত্রাস থেকে আগামীর ভালবাসা— সবটাই ধরা থাকছে কবিতার এই ফিউশনে।
নতুন প্রজন্মর কাছে সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতাকে পৌঁছে দিতে চাইছেন নতুন এক আঙ্গিকে। কবিতার জন্য গান, অভিনয়, নাচ।
কবিতার মধ্যে তৈরি হচ্ছে নানা দৃশ্য।
বিনোদিনীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন গিরিশ ঘোষ আর অমৃতলাল বসু। পথে নরেনের (বিবেকানন্দ) সঙ্গে দেখা। নরেন গিরিশ ঘোষকে জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিণেশ্বরের দিকে। ‘কে কাকে টানছে’— মোহময় প্রমোদ? না কি রসেবশে মুক্তি? কোন পথে যাবেন গিরিশ ঘোষ? মঞ্চে সুতপা যখন পড়বেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কবিতা, তখন ব্যাক়ড্রপে ধরা থাকবে অভিনয়। সেই সময়কে ধরতে তৈরি হচ্ছে নাটকের সেট।
পাঁচ বছরে পা দিল সুতপার ‘কবিতাস্কোপ’। আগের মতো মিউজিক রেকর্ড করে মঞ্চে কবিতা বলার ফর্ম্যাটটা ভাঙছেন তিনি। ‘‘এবারে লাইভ কনসার্টে সঙ্গীত আর কবিতার যুগলবন্দি হবে। বেহালাবাদক সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় এ বার ‘কবিতাস্কোপ’-এর সঙ্গীত আয়োজনে। কবিতার সঙ্গে বেজে উঠবে ভায়োলিন আর গিটার। এই মিউজিকও কবিতার কথাই বলবে। কবিতাকে ছাপিয়ে যাবে না,’’ বলছেন সুতপা।
১৯২৬ থেকে ২০১৫। রবীন্দ্রনাথ থেকে মল্লিকা সেনগুপ্ত— আসবে সন্ত্রাস, নৃশংস মৃত্যু, কখনও বা ভালবাসার কথা। মৃত্যুর পরেও সুতপা ফিরবেন জীবনের কথায়।
‘এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’ সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার শপথেই নতুন প্রজন্মকে ক্ষতমুক্ত করতে চান সুতপা। তাঁর এই প্রয়াসে কোরিওগ্রাফির দায়িত্ব নিয়েছেন অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়। নাচে থাকছেন সৌমিলি বিশ্বাস আর দেবলীনা কুমার। ৪ ডিসেম্বর উত্তম মঞ্চে সন্ধে সাতটায় কবিতার এই জার্নিতে নাচ, অভিনয় আর কবিতাকে মিলিয়ে দেবেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।