Kumar Sanu

ঋষি থাকলেই কুমার শানুর গান হিট! কোন কৌশলে, জানালেন গায়ক

কুমার শানুর দাবি, তাঁর গানের প্রতি সবচেয়ে সুবিচার করেছেন নায়ক ঋষি কপূর। মনে হত শানু নয়, ঋষিই গাইছেন! কী ভাবে সম্ভব হত সেই কৌশল? বলছেন শানু।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৫১
Share:

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শানু জানান, ঋষি তাঁর গানে পর্দায় এমন ভাবে ঠোঁট মেলাতেন, যেন মনে হত, তিনিই গাইছেন। — ফাইল চিত্র।

অনেক লড়াই করে বলিউডে প্লেব্যাক গায়ক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কুমার শানু। নব্বইয়ের দশকে বলিউডে শাহরুখ খান, সলমন খান থেকে শুরু করে প্রথম সারির সব নায়কের জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তবে শানুর মতে তাঁর গানকে পর্দায় অভিনয়ের মাধ্যমে সবচেয়ে ভাল ফুটিয়ে তুলেছেন ঋষি কপূর।

Advertisement

‘যব সে তুমকো দেখা হ্যায় সনম’, ‘তেরি উমিদ, তেরা ইন্তেজার’-এর মতো গানে ঠোঁট দিয়েছেন ঋষি, যা শোনা গিয়েছে শানুর কণ্ঠে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শানু জানান, ঋষি তাঁর গানে পর্দায় এমন ভাবে ঠোঁট মেলাতেন, যেন মনে হত, তিনিই গাইছেন।

Advertisement

শানুর কথায়, “সিনেমার জন্য যত গান আমি গেয়েছি, সেগুলোর প্রতি সবচেয়ে সুবিচার করতে পেরেছেন একজন, তিনি ঋষি কপূর। তার পর শাহরুখ খান এবং অন্যরা।”

কেন ঋষির ঠোঁটে তাঁর গান এত জীবন্ত হয়ে উঠত, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন গায়ক। বলেছেন, “যখন আমার গানে ঋষি লিপ দিতেন, তাঁর কণ্ঠের স্নায়ুগুলোর সঙ্কোচন-প্রসারণ হত। আমি গাওয়ার সময় মুখে যে অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতাম, তিনি অভিনয়েও সেটাই প্রকাশ করতেন। সেই কারণে সব সময় মনে হত, তিনিই যেন গানগুলো গাইছেন।” স্মৃতিচারণ করে কুমার শানু জানান, ঋষি ছিলেন ভাবনাচিন্তাহীন, খোলা মনের মজার মানুষ।

২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল, মাত্র ৬৭ বছর বয়সে ঋষি প্রয়াত হন। দুরারোগ্য কর্কটরোগ তাঁর জীবনে দাঁড়ি টানে। ব্যথিত হয়েছিলেন শানুও। তিন দশকের বেশি দীর্ঘ সঙ্গীতজীবনে ২৬টি ভাষায় একুশ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন