মাত্র কুড়ি মিনিটের ছবি। তার থেকে কয়েক সেকেন্ডের ক্লিপ জোগাড় করে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটে। অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত সেই ছবির ভিডিও নিয়ে এখন বিতর্ক তুঙ্গে। আপত্তি উঠেছে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো ছবিটির অভিনেত্রী রাধিকা আপ্টের নগ্ন ভিডিও নিয়ে।
অনুরাগ বিষয়টি জানার পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এ ভাবে ছবির একটি অংশ সামঞ্জস্যহীন ভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ায় তিনি বিরক্ত। ঘটনাটি নিয়ে মুম্বই পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা তদন্ত শুরু করেছে। রাধিকার নগ্ন দৃশ্য-ফাঁস উস্কে দিয়েছে ২০১১-র ‘ছত্রাক’ ছবির স্মৃতি। সে বার শ্রীলঙ্কার পরিচালক বিমুক্তি জয়সুন্দরও ইউটিউবে ছড়ানো ওই ছবির বিতর্কিত দৃশ্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন। ‘ছত্রাক’-এর কিছু কিছু সংস্করণে একটি যৌন দৃশ্যে পাওলি দাম এবং অনুব্রত বসুকে দেখা গিয়েছিল। সেই অংশটিই কোনও ভাবে ফাঁস হয়ে যায় ইউটিউবে। পরে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ায় ইউটিউব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই বিতর্কিত দৃশ্য।
এ বার তাঁর ছবির অংশ হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ অনুরাগও। একই সঙ্গে গোটা বিষয়টির দায় নিয়ে তিনি বলেছেন রাধিকাকে এ জন্য যে ভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে, তাতে তিনি লজ্জিত। বিশ্বের আরও ছ’জন পরিচালক এই ছবি পরিচালনায় রয়েছেন। অনুরাগের মতোই তাঁরাও স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি তৈরি করেছেন। সব মিলে একটি ছবি তৈরি হওয়ার কথা। ছবিটি মূলত আন্তর্জাতিক বাজারের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে বলে দাবি অনুরাগের।
দৃশ্যটি শ্যুট করার সময়ে শুধুমাত্র মহিলারাই ছিলেন। অনুরাগ জানাচ্ছেন, সব দিক থেকে সতর্ক হয়েই এগোনো হয়েছিল। ছবি তৈরির পরে তা নিউ ইয়র্কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অনুরাগ মনে করছেন, সেখানেই কোনও ভারতীয়র হাতেই এই ভিডিও ফাঁস হয়েছে। কারণ পরিচালকের মতে, পশ্চিমী দেশে এমন কোনও দৃশ্য নিয়ে কেউ মাতামাতি করে না। এটা এ দেশেই সম্ভব। যে এই কাজ করেছে, তাঁকে তিনি খুঁজে বার করবেনই— দাবি পরিচালকের।