Anurag Kashyap

সরকারকে খোলা চিঠি ইন্ডাস্ট্রির

তালিকায় ফারহান আখতার, অনুরাগ কাশ্যপ, শাবানা আজ়মি, দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়, হনসল মেহতা, জ়োয়া আখতারের মতো ব্যক্তিত্বের নাম রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২১ ০৮:১৯
Share:

অনুরাগ এবং ফারহান। ফাইল চিত্র।

ওয়েব কনটেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্টের উপরে সেন্সরশিপ চালু নিয়ে শুরু হয়েছিল। তার পরের ধাপে এপ্রিল মাস নাগাদ কেন্দ্রীয় সরকার ফিল্ম সার্টিফিকেশন অ্যাপালেট ট্রাইবুনাল (এফসিএটি) বিলুপ্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেন্সরের কোনও সিদ্ধান্তে যদি নির্মাতাদের আপত্তি থাকত, তা হলে তাঁরা এফসিএটি-র কাছে অাপিল করতে পারতেন। কিন্তু এই শাখাটি বিলুপ্ত করে দেওয়ার ফলে, নির্মাতাদের কাছে একমাত্র উপায় হাই কোর্টে আবেদন করা, যা সময় এবং খরচসাপেক্ষ। এর পর এল তৃতীয় ধাক্কা, সিনেম্যাটোগ্রাফ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০২১। এই সংশোধনীর খসড়াতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডের সিদ্ধান্তকে বাতিল করতে পারে। অর্থাৎ, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া কোনও ছবি-সিরিজ়কে কেন্দ্রীয় সরকার আটকে দিতে পারে বা প্রয়োজনীয় রদবদলের নির্দেশ দিতে পারে। এই সংশোধনীর খসড়া প্রকাশ করে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত চাওয়া হয়েছিল। বলা বাহুল্য, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অধিকাংশ প্রযোজক-পরিচালক এই অ্যামেন্ডমেন্টে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে খোলা চিঠি লিখেছেন। সেই তালিকায় ফারহান আখতার, অনুরাগ কাশ্যপ, শাবানা আজ়মি, দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়, হনসল মেহতা, জ়োয়া আখতারের মতো ব্যক্তিত্বের নাম রয়েছে।

Advertisement

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পাঠানো খোলা চিঠিতে ১৪০০ ব্যক্তি ওই সংশোধনী নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘বারবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। নতুন নিয়মবিধিতে যেমন সেন্সর বোর্ডের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হবে, তেমনই সুপ্রিম কোর্টেরও মর্যাদাহানি হবে। বিশাল ভরদ্বাজ টুইট করেছেন, ‘‘সেন্সরের তো ফিল্ম সার্টিফিকেট দেওয়ার আর মানেই রইল না।’’ ওই খোলা চিঠিতে কিছু বিষয় খোলসা করারও দাবি জানানো হয়েছে। যেমন, সেন্সর বোর্ডের কার্যকলাপ ঠিক কী হবে, তা নির্দিষ্ট করে জানাতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের বিষয়টি বাদ দেওয়ার এবং এফসিএটি পুনরায় বহাল করার দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি ‘তাণ্ডব’, ‘মির্জ়াপুর’, ‘সেক্রেড গেমস’-সহ একাধিক ওয়েব সিরিজ় নিয়ে রাজনৈতিক দিক থেকে আপত্তি উঠে এসেছে। মূলত তার পর থেকেই সিনেমা-সিরিজ়ে বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্যোগী হতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন