রিটায়ারমেন্টের পর কী করছেন বেকহ্যাম

পপস্টার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামকে বিয়ে করা থেকে প্রিমিয়ার লিগ ছেড়ে হঠাৎ আমেরিকায় ফুটবল খেলতে চলে যাওয়া, চমকে দিয়েছেন বরাবর। তবে বিয়াল্লিশ বছরের তারকা এখন ফুটবল থেকেই অনেক দূরে। নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন...

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ১১:৩০
Share:

মেয়ে হার্পারের সঙ্গে বেকহ্যাম

ডেভিড বেকহ্যামকে চেনে না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া শক্ত। সেটা তিনি নিজেও জানেন। বলছিলেন, ‘‘এটা খুবই আশ্চর্য যে, দুনিয়ার যে প্রান্তে যাই না কেন, সবাই জানে আমি কে। আমার মুখ না চিনলেও, নামটা জানে।’’ মাঠ হোক বা মাঠের বাইরে, বরাবরই তিনি খবরের শিরোনামে। পপস্টার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামকে বিয়ে করা থেকে প্রিমিয়ার লিগ ছেড়ে হঠাৎ আমেরিকায় ফুটবল খেলতে চলে যাওয়া, চমকে দিয়েছেন বরাবর। তবে বিয়াল্লিশ বছরের তারকা এখন ফুটবল থেকেই অনেক দূরে। নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সমাজসেবা আর ছেলেমেয়েদের নিয়ে। তথ্যচিত্রও বানিয়ে ফেলেছেন, ‘ফর দ্য লভ অফ দ্য গেম’।

Advertisement

‘‘ডকুমেন্টারিটা সত্যিই আমাকে একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে। এই ধরনের সফরগুলো আপনাকে বুঝিয়ে দেয়, আপনি কতটা ভাগ্যবান। আমি তো বাড়ি ফিরে ছেলেমেয়েদের বলি, ওরা কতটা সুিবধে পায়। পৃথিবীতে অনেক ছেলেমেয়ে আছে, যারা খাওয়ার জন্য পরিষ্কার জলটুকুও পায় না।’’ ব্রুকলিন, রোমিও, ক্রুজ বা হার্পার আপনার কথা বিশ্বাস করে? ‘‘ওরা জানে, আমি কী করি। কেন বাবা এই সফরগুলোয় যায়। রোমিও তো আমার সঙ্গে আসার জন্য বায়নাও ধরে। কিন্তু স্কুলের জন্য আর নিয়ে যাওয়া হয় না।’’

বিতর্ক তাঁকে নিয়ে কম হয়নি। প্রাক্তন ম্যানেজারের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে ই-মেল স্ক্যান্ডল... খ্যাতি কি সব সময় এমন বিড়ম্বনা তৈরি করে? উড়িয়ে দেন বেকহ্যাম, ‘‘একেবারেই না। আমি কখনওই বলব না যে আমার খ্যাতি কোনও অসুবিধা করেছে। কিছু উটকো ঝঞ্ঝাট আসে, এটা সত্যি। যেমন হয়তো আপনি একলা থাকতে চান বা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বেরোচ্ছেন, পাপারাৎজি ঘিরে ধরল। এটা বিরক্তিকর।’’

Advertisement

আরও খবর
আতঙ্কের ব্রিটেনেই জমজমাট ভারত-পাক ম্যাচ

সোনি বিবিসি আর্থের তথ্যচিত্রটার জন্য তো আপনি সাতটি মহাদেশে ঘুরে বেড়ালেন। আবার এত রকম ব্যবসা আর ব্র্যান্ড রয়েছে। ফুটবল ক্যাম্প রয়েছে। স্ত্রীও যথেষ্ট সফল ফ্যাশন ডিজাইনার। ছেলেমেয়েদের পেরেন্টস-টিচার্স মিটিংয়ে যেতে পারেন? ‘‘ভিক্টোরিয়াকে ডেটে নিয়ে যাওয়ার সময় হয় না। কিন্তু ছেলেমেয়েদের জন্য সময় করে নিই। আমি কাজের জন্যে বাইরে থাকলে ভিক্টোরিয়া ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বাড়িতে থাকে। আর ও যখন বাইরে থাকে, তখন আমি বাড়িতে থাকবই।’’

বেকহ্যামের কাছে অভিভাবকত্ব মানে, ছেলেমেয়েদের সঙ্গে থাকা। বলেন, ‘‘আমি প্রতিদিন সকালে ছেলেমেয়েদের স্কুলে নিয়ে যাই। বিকেলে নিয়ে আসি। ফুটবল খেলতে নিয়ে যাই। ব্যালে দেখতে যাই। ব্যবসা, পরিবার, ছেলেমেয়ে, স্ত্রী... সব কিছুর মধ্যে সময় ভাগ করে নেওয়াটা সহজ নয়, কিন্তু একে অপরের জন্য সময় বের করতেই হবে। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সেটা আমরা সব সময় করি।’’

তাঁর দুর্বলতা চার বছরের মেয়ে হার্পার। তাকে যে বাবা কিছুতেই ‘না’ বলতে পারেন না। ‘‘একবার বারণ করেছিলাম। চার বছরে একবার। কারণ ‘না’ বলার পর এমন করে মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল যে, আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। ভিক্টোরিয়া তাতে আমার ওপর খেপে যায়। বলে, হার্পার আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেই আমি গলে যাই। জানি কড়া হওয়া উচিত, কিন্তু বকাবকি করার ভার আমি ভিক্টোরিয়াকে দিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন