Sunita Kapoor

বেকার অনিল কপূরের খরচ চালাতেন স্ত্রী সুনীতা!

লাজুক বলেই নাম রয়েছে এই দম্পতির। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁদের প্রেমের গল্প নিয়ে এখনও আলোচনা চলে। কথা হচ্ছে অনিল কপূর এবং তাঁর স্ত্রী সুনীতা কপূরকে নিয়ে। তাঁদের প্রেম কী ভাবে হয়েছিল? জেনে নেওয়া যাক।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ১১:০১
Share:
০১ ১২

লাজুক বলেই নাম রয়েছে এই দম্পতির। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁদের প্রেমের গল্প নিয়ে এখনও আলোচনা চলে। কথা হচ্ছে অনিল কপূর এবং তাঁর স্ত্রী সুনীতা কপূরকে নিয়ে। তাঁদের প্রেম কী ভাবে হয়েছিল? জেনে নেওয়া যাক।

০২ ১২

অনিলের সঙ্গে বন্ধুদের মাধ্যমেই আলাপ হয়েছিল সুনীতার। সুনীতা তখন অন্যতম সেরা মডেল, দারুণ কাজ করছেন। অনিল ইন্ডাস্ট্রিতে তখন কাজ করার চেষ্টা করছেন। বন্ধুর থেকেই ফোন নম্বর নিলেন সুনীতার। আর তার পর শুরু হল কথা।

Advertisement
০৩ ১২

অনিলের সঙ্গে বন্ধুদের মাধ্যমেই আলাপ হয়েছিল সুনীতার। সুনীতা তখন অন্যতম সেরা মডেল, দারুণ কাজ করছেন। অনিল ইন্ডাস্ট্রিতে তখন কাজ করার চেষ্টা করছেন। বন্ধুর থেকেই ফোন নম্বর নিলেন সুনীতার। আর তার পর শুরু হল কথা।

০৪ ১২

১৯৮০ সালের কথা। মাত্র কয়েক সপ্তাহ কথা হয়েছে দু’জনের। এ বার দু’জনকে একা দেখা করতেই হবে। গলা শুনেই সুনীতার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন, লাজুক অনিল প্রীতি জিন্টাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এমনটাই। বলেছেন, “ওঁর সম্পর্কে বলতে ভাল লাগে, আবার লজ্জাও করে।”

০৫ ১২

বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। অনিল বাসে যাতায়াত করতেন, ট্যাক্সিতে এলে ভাড়া মেটাতেন সুনীতা। প্রচুর উপহারও দিতেন। কখনও বা হাত খরচও দিতেন। বরং ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাগল করা উঠতি নায়ক খুব একটা কিছু দিতে পারতেন না সুনীতাকে, অনিল জানিয়েছেন এমনটাই।

০৬ ১২

এ রকম দিন গিয়েছে, যখন সুনীতাই অনিলের ট্যাক্সি ভাড়া দিয়েছেন, খরচ চালাতে সাহায্য করেছেন, কারণ বাড়ির থেকে কোনও সাহায্য নিতে চাইতেন না অনিল।

০৭ ১২

অনিল কাজ না পেয়ে মন খারাপ করে থাকতেন। তাঁর পাশে থাকতে প্রচুর কাজ ছেড়েছেন সুনীতা, শুটিংও বাতিল করেছেন। সুনীতার বাবা ছিলেন ব্যাঙ্কের বড় অফিসার। সুনীতা ২৫ দিনের জন্য বিদেশে যাচ্ছিলেন মডেলিংয়ের কাজে। বিমানবন্দরে সুনীতাকে ছেড়ে আসতে গিয়ে ক্লান্ত অনিল নাকি তাঁর কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, জানান সুনীতা।

০৮ ১২

বলিউডে বেশ কিছু পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের পর ১৯৮৩ সালে ‘উও সাত দিন’ ছবিতে স্পটলাইটে আসেন অনিল। সুনীতাকে বিয়ে করতে চান। কিন্তু সুনীতার পরিবারের আপত্তি ছিল। ১৯৮৪ সালের ‘মশাল’ ছবি রাতারাতি অনিলকে সেনসেশন বানিয়ে দেয়।

০৯ ১২

অনেক কষ্টে সুনীতার বাড়ি থেকে রাজি হওয়ার পর দু’বার বিয়ের তারিখ পিছিয়ে দেন অনিল। অনিলের কথায়, “তখন অনেক ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ বলেছিলেন বিয়ে করলে কেরিয়ার নষ্ট হবে।” কিন্তু লেডি লাককে রোজই দেখতে চাইতেন তিনি।

১০ ১২

পাঁচ বছর সম্পর্কের পর ১৯৮৪ সালের ১৯ মে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। বিয়ের পর থেকেই অনিলের স্টাইলিং ঠিক করা, পোশাক ডিজাইন করা সবটাই করতেন সুনীতা।

১১ ১২

মাধুরী দীক্ষিত ও শিল্পা শিরোদকরের সঙ্গে অনিলের সম্পর্ক ছিল, এমনটাও রটেছিল এক সময়ে। তখন স্ত্রী সুনীতা পাত্তা দেননি। আর অনিল বলেছিলেন, “দু মিনিটের ভাল লাগা না সারা জীবনের জন্য আনন্দে থাকা, কোনটা বেছে নেবে মানুষ? সুনীতাকেই আমি ভালবাসি।’’

১২ ১২

অনিল ও সুনীতার মেয়ে সোনম ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠিত নায়িকা। তাঁর ভাই রিয়া, হর্ষবর্ধনকেও সুনীতা ও অনিল সুন্দর করে মানুষ করে তুলেছেন। বর্তমান দুনিয়ায় যখন সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয়ে পড়েছে, বাবা-মায়ের ভালবাসাই উদাহরণ, জানান সোনম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement