Madhubani Goswami

‘শাঁখা-সিঁদুর চাইলেই পরা যায় না, স্বামীর থাকাটা…’ যাঁরা পরেন না তাঁদের লক্ষ্য করে কী বললেন মধুবনী?

মধুবনীর বিশ্বাস, হাতের শাঁখা-পলা, সিঁথির সিঁদুরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে স্বামীর মঙ্গল-অমঙ্গল। যাঁরা এ নিয়ে কটাক্ষ করেন কিংবা যাঁরা ‘শুধুই ফ্যাশন’-এর কারণে শাখা পরতে পারেন না, তাঁদের দিলেন কড়া জবাব।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫ ১৬:৩৫
Share:

মধুবনী গোস্বামী। ছবি: সংগৃহীত।

মধুবনী গোস্বামী বিয়ে করেছেন টেলি অভিনেতা রাজা গোস্বামীকে। ‘ভালবাসা ডট কম’ সিরিয়ালের সেট থেকেই শুরু তাঁদের প্রেম। তার পর বিয়ে। বর্তমানে এক পুত্রসন্তানের মা মধুবনী। ২০১৬ সালে রাজাকে বিয়ের পর থেকে কাজ কমতে থাকে মধুবনীর। সিরিয়ালে সে ভাবে আর দেখাই যায় না তাঁকে। তবে এখন ভ্লগিং করেন। পাশপাশি, বিউটি পার্লার রয়েছে তাঁর। যদিও মধুবনী সব সময় বলে এসেছেন, কাজের প্রচুর প্রস্তাব ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু, ব্যক্তিগত জীবনকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন। যদিও সমাজমাধ্যমে প্রায়শই নানা কারণে ‘ট্রোলড’ হতে হয় তাঁকে। কখনও তাঁর সোনালি চুল, কখনও আবার তাঁর হাতের মোটা শাঁখা-পলা নজর কেড়েছে অনেকের। মধুবনীর বিশ্বাস, হাতের শাঁখা-পলা, সিঁথির সিঁদুরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে স্বামীর মঙ্গল-অমঙ্গল। যাঁরা এ সব নিয়ে কটাক্ষ করেন কিংবা যাঁরা ‘শুধুই ফ্যাশন’-এর কারণে শাখা পরেন না, তাঁদের দিলেন কড়া জবাব।

Advertisement

বিয়ের পর থেকেই হাতে মোটা শাঁখা-পলা পরেন। মধুবনী দাবি করেছেন, হালফিলে যে মহিলাদের মধ্যে মোটা শাঁখা-পলা পরার যে পর চল শুরু হয়েছে তা তাঁকে দেখেই। তিনি বিয়ে করেছিলেন মোটা শাঁখা পরেই। এর পরে তিনি লক্ষ করেন, অনেকেই এটা পরছেন। তাঁকে লোকে অনুসরণ করছেন দেখে ভাল লাগা কাজ করত মধুবনীর মধ্যে। অভিনেত্রী নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘‘শাঁখা-পলা পরা যেখানে উঠেই গিয়েছিল, অন্তত লোকে প্রসাধনীর অঙ্গ হিসেবে তো পরছেন। এর পর শাঁখার সঙ্গে মোটা পলা পরা শুরু করলাম। তখনও সেটা লোকে ফলো করল।’’

যদিও মধুবনীকে নাকি অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি সব সময় শাঁখা-পলা পরে থাকেন। মধুবনী জানান, তাঁর বিশ্বাস, শাঁখা-পলা-সিঁদুরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর স্বামীর মঙ্গল-অমঙ্গল। অভিনেত্রীর সাফ কথা, আমার স্বামীর মঙ্গলকামনায়, স্বামীর শারীরিক এবং মানসিক সুস্বাস্থ্যের কামনায়… এটা আমার বিশ্বাস… সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই আমি পরি। আর একটা কথা… আমি মনে করি, শাঁখা-পলা, সিঁদুর এগুলো এমন আভূষণ, যা চাইলেই পরা যায় না। তাঁর বক্তব্য, এর জন্য অবশ্যই প্রাথমিক ভাবে বিয়ে হওয়াটা ম্যান্ডেটরি এবং সঙ্গে স্বামী থাকাটাও অত্যাবশ্যক। যদিও মধুবনী কর্মরতা মহিলাদের ছাড় দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা প্রফেশনের কারণে পরতে পারেন না, তাঁদেরটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু ‘এমনিই পরি না’ বা ‘দেখতে গাঁইয়া লাগে’ ভেবে যারা পরেন না, তাঁদের অন্তত এটুকু মাথায় রাখা উচিত, যে এমন অনেকে আছেন, যাঁরা এগুলো পরার সুযোগই পান না।’’

Advertisement

মধুবনীর এই পোস্ট ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে। এই মোটা শাঁখা-পলা পরার চল যে নতুন কিছু নয়, তা অনেকেই মন্তব্যবাক্সে লিখেছেন মধুবনীর উদ্দেশ্যে। অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের দিদি রাই সেনগুপ্তও মধুবনীর ভুল ভাঙিয়ে দিয়েছেন। মোটা শাঁখা পরার প্রচলন যে অনেক আগের তা মনে করিয়ে দেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement