পুত্র কেশবের সঙ্গে রাজা-মধুবনী। ছবি: সংগৃহীত।
একদা অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিকের চর্চিত মুখ মধুবনী গোস্বামী। অভিনেতা রাজা গোস্বামীকে বিয়ের পর কাজের পরিমাণ কমিয়ে দেন। ছেলে কেশবের জন্মের পরে টেলিভিশনের পর্দায় সে ভাবে আর দেখা যায় না তাঁকে। যদিও একেবারে কাজ বন্ধ করেছেন তেমন নয়, রীতিমতো ভ্লগিং করেন। এ ছাড়াও সালোঁর ব্যবসা রয়েছে তাঁর। চলতি মাসের শুরুর দিকে একটি পোস্ট দেন মধুবনী, যেখানে তিনি জানান, নিজের কেরিয়ারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাড়িতে বসে যান শুধু মাত্র সন্তানের দিকে তাকিয়ে। পরিবারকেই প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। যদিও মধুবনীর এই পোস্ট দেখে তাঁর উপর রুষ্ট হয়েছেন অনেকেই। এ বার কটাক্ষের প্রত্যুত্তর দিলেন তিনি।
দিন কয়েক আগে যে পোস্ট মধুবনী করেন তাতে তিনি লেখেন, ‘‘মা হওয়া সত্যিই সহজ নয়… নিজের প্রমিসিং কেরিয়ারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, সন্তান এবং সংসারের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা মুখের কথা নয়। অনেকে হয়তো বলবেন, ‘তোমার আর্থিক সচ্ছলতা আছে, তাই তুমি করেছ!’ কিন্তু এখানেই একটা মস্ত বড় ভুল, যা আমি আপনাদের শুধরে দিতে চাই… আমি ব্যক্তিগত ভাবে এমন বহু জনকে চিনি, যাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও তারা কিন্তু করেনি…শুধু ‘নিজের পয়সা’ বা ‘বরের পয়সা’ থাকলেই হয় না, নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে বিসর্জন দেওয়ার মতো মনও থাকা দরকার।’’
মধুবনীর এই পোস্ট ফেসবুক কয়েকশো বার শেয়ার হয়েছে। সমাজমাধ্যমে মহিলাদের একাংশ তাঁর এই মন্তব্যে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন। কেউ কেউ আপত্তি জানিয়েছেন মধুবনীর গোটা পোস্টটা নিয়ে, কেউ আবার আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রসঙ্গে আপত্তি জানিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে সমাজমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে নানা মন্তব্য চোখে পড়েছে তাঁরও। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমকে তিনি বলেন, ‘‘আমি যে পোস্টটা করেছি সেটা কেবলই আমার জীবনের জন্য প্রযোজ্য। অন্য কাউকে তো আমার পথ অবলম্বন করতে বলিনি। আমি তো নীতিপুলিশ নই যে, কে কী করবে সেটা বলে দেব।’’ কিছু মানুষ যাঁরা তাঁর কর্মজীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের উদ্দেশে মধুবনী বলেন, ‘‘ক্যামেরার সামনে থাকলেই কাজ করা হয়! আমি আমার জীবনে কী কাজ করছি, কতটা ব্যস্ত সেটা অন্য কাউকে দেখাতে যাব? আজ মানুষে সমালোচনা করেছে। কারণ, নিশ্চয় এতটা পরিচিতি আছে বলেই।’’
তবে এ সব নেতিবাচক মন্তব্যে নজর দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলেই জানালেন অভিনেত্রী। পাশপাশি, তিনি এও জানান, যাঁরা এখন তাঁকে নিয়ে সমালোচনা করছেন, বেশিদিন করতে পারবেন না। কারণ, তাঁরা একটা সময় ক্লান্ত হয়ে থেমে যাবেন।