চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে মুখোমুখি সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ও জয়া বচ্চন। ‘‘সাবিত্রীদি, ধন্যি মেয়ে!’’— বলে ছুটে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন ‘ধন্যি মেয়ে’র ‘মনসা’ জয়া। ‘‘দুনিয়ার যেখানেই যাই, বাঙালিরা এখনও ‘ধন্যি মেয়ে’র কথা বলেন’’, সে-দিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন জয়া। সেটা বছর তিনেক আগেকার কথা।
‘ধন্যি মেয়ে’র পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় ওরফে টলিপাড়ার ঢুলুবাবু তত দিনে কার্যত অবসর নিয়েছেন। টালিগঞ্জে টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওর কাছের বাড়িতে মধ্যবিত্ত অন্দরমহলে বন্দি, অসুস্থ। বুধবার সকালে ৯৬ বছর বয়সে সেখানেই যবনিকা পড়ল তাঁর জীবনের চিত্রনাট্যে। এ দিনই দুপুরে সিরিটি শ্মশানে অরবিন্দবাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁর দুই ছেলে, মেয়ে এবং তাঁদের পরিবারবর্গ রয়েছেন।
‘অগ্নীশ্বর’, ‘নিশিপদ্ম’, ‘নতুন জীবন’, ‘মৌচাক’, ‘ধন্যি মেয়ে’ প্রভৃতি ছবিতে বেঁচে থাকবে অরবিন্দবাবুর জীবনকৃতি। দাদা ‘বনফুল’ (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়)-এর বহু কাহিনিকে সেলুলয়েডে ধরেছিলেন তিনি।