দুলকির
প্র: আপনার বাবা মামুট্টি দক্ষিণের সুপারস্টার। ছোটবেলায় ছবির সেটে যেতেন নিশ্চয়ই?
উ: অনেক বার গিয়েছি। গেলেই তখনকার কোল্ড ড্রিঙ্কগুলো খেতে পেতাম, সেটা একটা বড় আকর্ষণ ছিল! তবে খুব বোরও হয়ে যেতাম। সেটে সব কিছু ভীষণ স্লো চলে। বাচ্চাদের কেন ভাল লাগবে! তবে বাবা আমাকে এ সবের থেকে দূরে রাখতেন না।
প্র: অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে বরাবরই ছিল?
উ: বাড়ি থেকে উৎসাহ পাইনি। বাবা বিশেষ করে... উনি চাননি আমি অভিনয়ে আসি। আসলে মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেকেন্ড জেনারেশন অভিনেতারা কেউ সফল হননি। তাই বাবা ভয় পেতেন। এখন উনি খুশি! আমার প্রশংসা না করলেও হাবভাব দেখে বুঝতে পারি।
প্র: অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্ত কবে নিলেন?
উ: এক দিন মনে হল, ৪০ বছর বয়সে পৌঁছে আমার যেন কোনও আক্ষেপ না থাকে। আমেরিকায় পড়াশোনা করে দুবাইতে চাকরি করছিলাম। সব কিছু ছেড়ে অভিনয় শুরু করি। বাবা প্রথমে সাবধান করেছিলেন যে, অভিনয়টা কর্পোরেট চাকরি নয়। ছবি ফ্লপ করলে দর্শক মুহূর্তে আমার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা গড়ে তুলবেন।
প্র: হিন্দি ছবিতে অফার আগে এসেছিল?
উ: আমার করা মালয়ালম ছবিরই হিন্দি রিমেকের কথা হয়েছিল। কিন্তু নিজেরই ছবির হিন্দি রিমেক করতে চাইনি। তাই অপেক্ষা করছিলাম, কখন ভাল একটা স্ক্রিপ্ট আসবে। ‘কারবাঁ’র গল্প আর ইরফান খানের সঙ্গে কাজের সুযোগ— দুটোই আকৃষ্ট করেছিল। আমার কাছে মালয়ালম ছবিরই প্রাধান্য বেশি। একটা সময়ে যে কোনও একটা বিষয়েই মনঃসংযোগ করা যায়। ভাষা অন্য হয়ে গেলে দায়িত্বটা বেড়ে যায়।
প্র: ইরফান খানের ভক্ত আপনি?
উ: খুব বড় ভক্ত। ওঁর কাছ থেকে শেখার কোনও শেষ নেই। এখন উনি খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমি এক বারই ওঁকে মেসেজ করেছিলাম। এই সময়ে বারবার বিরক্ত করতে চাই না। ছবিতে ওঁর চরিত্র দর্শকের মুখে হাসি ফোটাবে আর আমাকে শুটিংয়ে সব সময়ে স্ট্রেট ফেস রাখতে হয়েছিল! সেটা বেশ কঠিন ছিল।
প্র: সোনম কপূরের সঙ্গে ‘জ়োয়া ফ্যাক্টর’ করছেন। কী প্রস্তুতি চলছে?
উ: ওখানে এক জন ক্রিকেট ক্যাপ্টেনের চরিত্রে আমি। দু’সপ্তাহের একটা ট্রেনিং সেশন শুরু করব। সোনমের ‘নীরজা’ আমার প্রিয় ছবি। লুকিং ফরওয়ার্ড টু অ্যাক্ট উইথ হার।