একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছেন মমতা। গ্রাফিক-আনন্দবাজার অনলাইন।
মহাকুম্ভে একেবারে দুধস্নান সেরে সন্ন্যাস নিয়ে ফেলেছেন মমতা কুলকার্নি। কিন্নর আখড়া থেকে পেয়েছিলেন মহামন্ডলেশ্বরের তকমা। একটা লম্বা সময় দেশান্তরি থেকে সন্ন্যাস নিতেই ফের শিরোনামে তিনি। হঠাৎ এমন ভোলবদল কেন মমতার? এর কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছিলেন, মা কালীর নির্দেশেই আধ্যাত্মবাদের পথ বেছে নিয়েছেন। এখানেই থামেননি, নিজেকে কালীর রূপ বলে ঘোষণা করে দেন মমতা।
ইতিমধ্যে তাঁর মহামন্ডলেশ্বর সম্মান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ মমতার মহামণ্ডলেশ্বর আখ্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি মাত্র ২৫ বছর বয়সে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন বলে দাবি করেন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ। তাঁর দাবি, “শুধুমাত্র প্রভাব খাটিয়ে কী ভাবে কেউ হঠাৎ মহামণ্ডলেশ্বর হয়ে উঠতে পারেন? যাঁদের অন্তর সত্যিই একজন সন্ন্যাসীর মতো, তাঁদেরই এই আখ্যা দেওয়া উচিত।” পাল্টা মমতা দাবি করেছেন তিনি নাকি প্রায় ২৫ বছর ধরে তপস্যা করছেন। বেদ ও শাস্ত্র সম্পর্কে যে তাঁর জ্ঞান রয়েছে, তাঁর প্রমাণ দিয়েছেন মমতা মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজেকে মা কালীর মূর্ত প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি নিজের আর্থিক অবস্থার কথাও জানিয়েছেন। সম্প্রতি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘আমার এক কোটি টাকাও নেই, আমার সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আমার কাছে কোনও টাকা নেই এবং মহামণ্ডলেশ্বর হওয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা দেওয়ার খবর একেবারেই সত্য নয়।’’
মমতা যখনই তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা বলেন, সঞ্চালক তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনার কাছে মা কালীর শক্তি আছে এবং সেই কারণেই মহাকুম্ভে রথ থামিয়েছিলেন?” এর উত্তরে মমতা বলেন, ‘‘আমি কালীর প্রতীকী রূপ।” তার পর সঞ্চালকের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘তা হলে নিজের বাজেয়াপ্ত হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্টটা উদ্ধার করো।’’ তাতে অবশ্য একেবার চুপ হয়ে যান অভিনেত্রী।