বিতাড়িত করা হয়েছিল মমতাকে, ফের সন্ন্যাসিনী হলেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছর মহাকুম্ভে কিন্নর আখড়ায় সন্ন্যাস গ্রহণ করেন মমতা কুলকার্নি। পেয়েছিলেন ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ উপাধি। কিন্তু বেশি দিন সন্ন্যাসিনী হতে পারলেন না মমতা। আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাস অভিনেত্রীকে এই বিশেষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে নাকি অপসারণ করা হয়েছিল কিন্নর আখড়ার নেত্রী এবং জনপ্রিয় সমাজকর্মী আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মীনারায়ণ ত্রিপাঠীকেও। এই ঘটনার পর নাকি নিজের ইচ্ছায় এই আখড়া থেকে পদত্যাগ করার পত্র পাঠান মমতা। কিন্তু তাঁর গুরু লক্ষ্মীনারায়ণ ত্রিপাঠী তা গ্রহণ করেননি। এ বার স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্টে করে নিজে মহামণ্ডলেশ্বর পদে ফিরে যাওয়ার খবর জানালেন তিনি।
পুরনো পদে বহাল হওয়ার পর মমতা বলেন, ‘‘আমি শ্রীয়ামাই মমতানন্দ গিরি। দু’দিন আগে কিছু লোক আমার গুরু লক্ষ্মীনারায়ণ ত্রিপাঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। দুঃখ পেয়েছিলাম। সেই কারণে আমি পদত্যাগ করেছিলাম। তবে তিনি আমার পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে দেন। আমি আচার্য লক্ষ্মীনারায়ণ ত্রিপাঠীর তরফে মহামণ্ডলেশ্বর হওয়ার পরে যে ছাতা, লাঠি ও অন্যান্য সামগ্রী উপহার পেয়েছিলাম তা আখড়ারই থাকবে। বাকি অর্থ সংস্থার ভান্ডারে রাখা হয়েছে। আমাকে এই অবস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য আমি ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে আমি কিন্নর আখড়া ও সনাতন ধর্মের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করব। ’’
একই সঙ্গে মমতার গুরু লক্ষ্মীনারায়ণ ত্রিপাঠী নিশ্চিত করেন, মমতা এখন থেকে মহামণ্ডলেশ্বর শ্রীয়ামাই মমতানন্দ গিরি হিসাবেই পরিচিত হবেন।