কী বললেন মন্দিরা বেদি। ছবি: সংগৃহীত।
‘মা হওয়া নয় মুখের কথা’, যে কোনও মায়ের ক্ষেত্রে এখনও এ কথার কোনও বিকল্প নেই। দত্তক সন্তানের মায়ের ক্ষেত্রে কি আরও বেশি করে? অভিনেত্রী, সঞ্চালিকা মন্দিরা বেদীর কথাই ধরা যেতে পারে। তিনি পুত্রসন্তান বীরকে গর্ভে ধারণ করেছেন। মেয়ে তারাকে দত্তক নেওয়া।
একুশ শতক, সমাজ, পরিবার কি হাসিমুখে মেনে নিয়েছিল মন্দিরার সিদ্ধান্ত?
বুধবার, এই প্রসঙ্গে এক আলোচনাচক্র বসেছিল শহরের পাঁচতারা হোটেলে। উপস্থিত ছিলেন মন্দিরা, ‘ডিয়ার মা’ ছবির পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, ছবির নায়িকা জয়া আহসান, প্রথম সারির খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থার ডিজিটাল বিভাগীয় প্রধান শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে মন্দিরা বলেন, ‘‘সন্তান ধারণের আগেই আমার স্বামী রাজ কৌশলকে বলেছিলাম, এক সন্তান ধারণ করব। একজনকে দত্তক নেব। রাজ সমর্থন জানিয়েছিলেন। বাড়ির বাকিরা বলেছিলেন, সামলাতে পারবে তো?’’
বীরের তিন বছর বয়স তখন মেয়ে তারা আসে মন্দিরার সংসারে। অভিনেত্রী-সঞ্চালিকার দাবি, ‘‘দুই পাশে দুই সন্তানকে নিয়ে যখন শুই, মনে হয় স্বর্গসুখ।’’
তা হলে কি ভালবাসা রক্তের থেকেও গাঢ়?
এই প্রশ্ন নিয়েই অনিরুদ্ধের ছবি। কেন এই বিষয় নিয়ে ছবি তৈরির তাগিদ অনুভব করলেন?
প্রশ্ন শুনে অনিরুদ্ধের জবাব, ‘‘প্রেম, রহস্যের পাশাপাশি সন্তান দত্তক নেওয়াও ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।’’ জানিয়েছেন, জয়া এই ছবিতে ভীষণ আধুনিকা, উচ্চকাঙ্ক্ষী। তিনি সন্তান দত্তক নিলেও ততটা অনুভূতিপ্রবণ নন। অভিনয় করতে গিয়ে তাঁর মাতৃসত্তা এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছে যে, জয়া কিছুতেই নির্লিপ্ত থাকতে পারেননি। স্পর্শকাতর দৃশ্যে তাঁর চোখ ভিজেছে।
আনন্দবাজার ডট কম ফের ফিরেছে মন্দিরার কাছে। দত্তক সন্তানকে কি নিজের সন্তানের মতো ভালবাসা যায়? ‘একা মা’ যদি সন্তান দত্তক নিতে চান তাঁকে কি আরও লড়তে হবে?
মন্দিরা তাঁর পেশাজীবনের মতো এখানেও সপাট। বললেন, ‘‘আমার কাছে তারা কোনও অংশে কম নয়। আগামী দিনে ভাই-বোনের মধ্যে যাতে বিরোধ না বাধে তার জন্য এখনই উইলে সমান ভাগে সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছি।’’ সঙ্গে এও অনুরোধ জানিয়েছেন, শুধুই শিশু নয়, একটু বড় বাচ্চাদেরও দত্তক নেওয়া উচিত। ‘‘পৃথিবীকে শিশুদের বাসযোগ্য আমাদেরই করে যেতে হবে।’’