ভাবিনি ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরতে পারব

গুরুতর অসুস্থতা কাটিয়ে ফের টলিউডে মিমি চক্রবর্তী ‘‘যশের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় ছবি। আমাদের বন্ডিংটা ক্রমশ স্ট্রং হচ্ছে। সেই সুবাদে জনপ্রিয় হচ্ছে আমাদের জুটিও,’’ বললেন মিমি।

Advertisement

স্বর্ণাভ দেব

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০৭:২০
Share:

মিমি। ছবি: সুদীপ্ত চন্দ

এ যেন বাস্তবিকই পুনর্জন্ম হল মিমি চক্রবর্তীর! ভাবছেন তো, কেন? ‘ধনঞ্জয়’-এ কাজের পরই অনুষ্কা শর্মার প্রযোজনায় ‘পরি’-তে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন মিমি। কিন্তু শ্যুটিংয়ের গোড়াতেই গুরুতর অসুস্থ পড়েন তিনি। মিমি জানালেন, ‘‘ভাবিনি ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরতে পারব। জানেন, আমি ‘পরি’র ওয়র্কশপও অ্যাটেন্ড করেছি। কিন্তু কাজটা শুরুর সময়ে প্রবল জ্বরে পড়লাম। সারা গায়ে র‌্যাশ বেরিয়ে ভয়ানক অবস্থা হয়। সাত দিন সিসিইউ-তে ছিলাম। ওজন কমে গিয়েছিল দশ কেজি। ইন্টার্নাল অরগ্যানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’’

Advertisement

তবে মনের জোর সম্বল করেই দু’মাসের মধ্যে শুরু করেন ‘টোটাল দাদাগিরি’র কাজ। ‘‘যশের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় ছবি। আমাদের বন্ডিংটা ক্রমশ স্ট্রং হচ্ছে। সেই সুবাদে জনপ্রিয় হচ্ছে আমাদের জুটিও,’’ বললেন মিমি। ২০১৭ সালটা বেশ ঘটনাবহুল মিমির জীবনে। ‘পোস্ত’, ‘ধনঞ্জয়’-এর মতো ছবিতে প্রশংসিত হয়েছে মিমির অভিনয়। অবশেষে কি ‘অভিনেত্রী’ মিমি প্রতিষ্ঠা পেলেন? জানালেন, ‘‘কারও কাছে নিজেকে প্রমাণ করার নেই। আমি যে অভিনয়টা পারি, সেটা দেখেই তো ‘গানের ওপারে’তে ঋতুদা (ঋতুপর্ণ ঘোষ) নিয়েছিলেন। তবে এটা ঠিক, সাম্প্রতিক কালে গতে বাঁধা চরিত্রের বাইরে নতুন কিছু করার প্রয়োজন ছিল। অপেক্ষায় ছিলাম, একটা শক্তিশালী স্ক্রিপ্টের সঙ্গে একজন ভাল পরিচালকের।’’

কাজের পাশাপাশি ব্যক্তি মিমিও ক্রমশই পরিণত হয়ে উঠেছেন। ‘‘আমি ভীষণ আবেগপ্রবণ। তবে এখন আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি। জীবনের সমস্ত ঘটনা থেকেই তো আমরা কিছু শিখি। তাই খারাপ অনুভূতি নিয়েও আক্ষেপ করি না। শিক্ষা নিই, যাতে ভবিষ্যতে সেটা আর না ঘটে।’’ বোঝাই যাচ্ছে, ব্যক্তিগত জীবনের যাবতীয় ঝড়ঝাপটা কাটিয়ে উঠেছেন তিনি।

Advertisement

অবসর সময়টা ঘরেই থাকতে পছন্দ করেন। ঘর সাজানো, নেটফ্লিক্সে সিনেমা দেখা, দুই পোষ্যর সঙ্গে খুনসুটি... এ সবেই মেতে থাকেন মিমি। তবে সম্প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়েছে ডেসার্ট তৈরি করার। ‘‘এটা আমার নতুন হবি। অনলাইনে উপকরণগুলো আনিয়ে নিই। প্রতি উইকএন্ডেই তৈরির চেষ্টা করি। এখনও সফল হইনি।’’ তবে হাল ছাড়তে নারাজ মিমি। লক্ষ্যপূরণ না হওয়া পর্যন্ত নাছোড় মনোভাবই তো মিমির জীবনের রিংটোন। সেই সুবাদেই তো জলপাইগুড়ির এক ছোট জায়গা থেকে কলকাতায় এসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। প্যাশনকেই বানিয়েছেন প্রফেশন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন