সুচিত্রা সেনকে নিয়ে মুনমুন সেনের স্মৃতিচারণ। ছবি: সংগৃহীত।
শুধুই সলমন খান বা আদিত্য রায় কপূর নন, এক বার শাহরুখ খানের বাড়িতেও জোর করে ঢুকে পড়েছিলেন এক ভক্ত। কিং খানের সুইমিং পুলে স্নান সেরে চলে গিয়েছিলেন তিনি! শাহরুখের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করেননি। এতেই সন্তুষ্ট সেই অজ্ঞাতপরিচয়। ভক্তদের এ রকম অসংখ্য ‘পাগলামি’র গল্প জানে আরবসাগর তীর। বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় কি এ রকম ঘটেছে? উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় হয়ে এখনকার জিৎ, দেব, অঙ্কুশ হাজরা।
কখনও তাঁদের বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়েছেন কোনও ভক্ত?
জানতে আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করেছিল অভিনেত্রী মুনমুন সেনের সঙ্গে। সুচিত্রা সেন চট করে জনসমক্ষে আসতেন না। অভিনয় ছাড়ার পর তিনি অন্তঃপুরবাসিনী হয়ে গিয়েছিলেন। ফলে, তাঁকে ঘিরে সদা কৌতূহল ছিল সব বয়সের অনুরাগীদের। “তার পরেও আমার মায়ের সঙ্গে কেউ এ রকম অভদ্রতা করেননি”, দাবি সুচিত্রা-কন্যার। স্মৃতি হাতড়াতে গিয়ে তাঁর মনে পড়েছে এক অনুরাগিনীর কথা। মুনমুন বলেছেন,“একটি মেয়ে ছিলেন। তিনি প্রত্যেক বছর নিয়ম করে মায়ের জন্মদিনে বাড়ির গেটের বাইরে এক রাশ ফুল রেখে যেতেন। কখনও বাড়ির অন্দরে পা রাখার ইচ্ছা পর্যন্ত প্রকাশ করেননি!”
অভিনেত্রী অবাক হতেন তাঁর ভদ্রতাবোধ দেখে। মুনমুন অনেক বার তাঁকে ভিতরে ডেকেছেন। তিনি পা রাখেননি। শান্তি ভঙ্গ করেননি সুচিত্রার। নিজের নাম পর্যন্ত জানাননি। কেবল ফুল দিয়েই খুশি থাকতেন। নীরব ভক্ত যাকে বলে। সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর পর একবার বাড়িতে পুজো হচ্ছে। সে বারেই ওই অচেনা নারী ফুল নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বাড়ির গেটে। সে দিন মুনমুনের অনুরোধ ফেরাননি তিনি। সেন পরিবারের অন্দরমহলে পা রেখেছিলেন। ওই প্রথম, ওই শেষ!
মুনমুনের মতে, “যিনি প্রকৃত ভক্ত তিনি কখনওই তাঁর প্রিয় অভিনেতা বা অভিনেত্রীর বিরক্তির কারণ হন না। দূর থেকে নীরবে নিজের শ্রদ্ধা জানিয়েই খুশি থাকেন।”