ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে আরও অভিযোগ

সোমবার সিনে ভিডিয়ো অ্যান্ড স্টেজ সাপ্লায়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন থেকে এই সমস্যা নিয়েই ডাকা হয়েছিল সাংবাদিক সম্মেলন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯ ০০:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

অভিনেতা ও কলাকুশলী তাঁদের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বলে বছরের প্রথম থেকেই ছিল অভিযোগ। সেই জট কিছুটা হলেও কাটে ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া এবং আর্টিস্টস ফোরামের হস্তক্ষেপে। কিন্তু বাংলা ধারাবাহিকে নিয়মিত ক্যামেরা, আলো, আসবাব, পোশাক ইত্যাদি যে ভেন্ডররা সরবরাহ করেন, তাঁদের পাওনা মেটাতে গিয়ে এখনও আতান্তরে ইন্ডাস্ট্রি।

Advertisement

সোমবার সিনে ভিডিয়ো অ্যান্ড স্টেজ সাপ্লায়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন থেকে এই সমস্যা নিয়েই ডাকা হয়েছিল সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানে মূলত বকেয়া টাকা মেটাতে না পারা দুই প্রযোজক, রানা সরকার এবং সুব্রত রায়ের নাম উঠে আসে। দাবি, রানা সরকারের প্রযোজনায় যে ধারাবাহিকগুলো পরবর্তী কালে অন্যান্য প্রযোজকের হাতে চলে যায়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সংগঠনকে না জানিয়েই। ফলে পারিশ্রমিক নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। এই দিন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নীত পাল বলেন, ‘‘আমাদের দু’কোটি এগারো লক্ষেরও বেশি টাকা পাওনা রয়েছে রানা সরকারের সংস্থার কাছ থেকে। তার মধ্যে অন্তত এক কোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ টাকার ইনভয়েস আমাদের রেডি করা রয়েছে। সেই টাকাটা চ্যানেল অন্তত মিটিয়ে দিক।’’

একটি চ্যানেলের কাছ থেকে ইমেল মারফত নীতকে বলা হয়, রানা সরকারের সংস্থা থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ পাওয়া গেলে তবেই তারা ভেন্ডরদের টাকা মেটাতে পারবে। সংগঠনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, প্রযোজক সুব্রত রায়ের কাছ থেকেও প্রায় তিন কোটি টাকা পাওনা রয়েছে তাঁদের। তবে তিনি যেহেতু গা-ঢাকা দেননি, তাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ততটা তীব্র নয়। এই প্রসঙ্গে নীত বললেন, ‘‘চ্যানেল আশ্বাস দিলেও সুরাহা দেখছি না। ইন্ডাস্ট্রিতে যন্ত্রপাতি, কস্টিউম, গাড়ি সাপ্লাই করতে আর পারছি না আমরা। আমাদের বহু সদস্য দেনার দায়ে জর্জরিত।’’

Advertisement

শিল্পী ও কলাকুশলী ফেডারেশন বা আর্টিস্টস ফোরামের হস্তক্ষেপে যেমন একটা সমাধান সূত্র পেয়েছেন, তেমনটা কি সাপ্লায়ার্স গিল্ডের ক্ষেত্রেও সম্ভব নয়? সংগঠনের সদস্য হিমাংশু ধানুকা বলেন, ‘‘ফেডারেশন টেকনিশিয়ানদের নিয়ে কাজ করে। ফোরাম আর্টিস্টদের নিয়ে। সাপ্লায়ার্স গিল্ড আলাদা। পরস্পরকে সাপোর্ট করাটাই কাম্য। কিন্তু সেটা সব সময়ে হয় না।’’ এখন দুরাশার মেঘ কবে কাটে, সেটাই দেখার।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন