Mimi Chakraborty

‘প্রকৃতিকে আঘাত করলে ব্যুমেরাং হয়ে তা ফেরে’....প্রকৃতির কোলে ফিরে উপলব্ধি সাংসদ মিমির

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ২১:০০
Share:

মিমি চক্রবর্তী।

কালীপুজোয় বেশ কিছু দিনের ছুটি পেয়েছেন সদাব্যস্ত সাংসদ-তারকা মিমি চক্রবর্তী। এই সুযোগে তিনি নিজের শহর জলপাইগুড়িতে। পুজো উদ্বোধন করেছেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। আর শহুরে ক্লান্তি মুছতে সুযোগ পেলেই ফিরে যাচ্ছেন প্রকৃতির কোলে। দিন দুই আগেই তাঁকে দেখা গিয়েছে লাটাগুড়িতে। ফাঁকা সড়ক পথের উপর আপন খেয়ালে বসে ছিলেন। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন নিজেই। এবার তিনি বাড়ি থেকে ৩০ কিমি দূরে, পাহাড়ি নদীর তীরে।

Advertisement

সারাটা পথ ছোট-বড় নুড়ি পাথর বিছানো। তার উপরেই মিমি যেন পাগলাঝোরা। কখনও হাঁটছেন, কখনও দৌড়োচ্ছেন! পরনে মভ রঙা প্যান্ট, টপ। গন্তব্যে পৌঁছে সেটাকেই গুটিয়ে নিয়েছেন হাঁটু পর্যন্ত। ছেলেবেলার মতোই প্রায় প্রায় লাফাতে লাফাতে নেমে পড়েছেন জলে।

কাচের মতো স্বচ্ছ্ব জল ভেঙে কখনও এগিয়েছেন মাঝনদী পর্যন্ত। একই সঙ্গে মনে করেছেন বিভিন্ন ঋতুতে নদীর বিভিন্ন রূপ। শীতে যে নদী শীর্ণকায়া, বর্ষাতেই সে ভয়ঙ্করী! মিমির কথায়, ‘‘তবু এখানে এলেই ফিরে পাই হারানো ছেলেবেলা। প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে পারি বিশুদ্ধ বাতাসে।’’

আরও পড়ুন: ডেটিং নিয়ে মুখ খুললেন মধুমিতা

Advertisement

পিকনিক করতে আসা মানুষের দল কী উপহার রেখে যায় প্রকৃতির জন্য? সাংসদের ক্ষোভ, ‘‘আবর্জনা ফেলে যান নদীর জলে, আশপাশে। বিয়ারের ক্যান, থার্মোকলের থালা, বাটি, প্লাস্টিকের গ্লাস আরও কত কী! একবার ভাবি না, এগুলো জলে মিশে হয়ে কতটা বিষাক্ত করছে পরিবেশ।’’

ফলাফল? মিমি জানাচ্ছেন, প্রকৃতির প্রতিশোধ। কোভিডের মত অতিমারি। যার দাপটে মাথা নুইয়েছে তামাম বিশ্ব।

আরও পড়ুন: লাশকাটা ঘরে শাশ্বত, রুদ্রনীলের খপ্পরে বাচ্চারা, দু’জনে দু’জনার ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’?

ছেলেবেলার শহরে দাঁড়িয়ে মিমির তাই আরও একবার উপলব্ধি, ‘প্রকৃতিকে আঘাত করলে ব্যুমেরাং হয়ে তা ফেরে। মানব সভ্যতাকে বাঁচাতে আসুন, আমরা সবাই মিলে বাঁচি।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement