প্লেব্যাক সিঙ্গার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে দেখতেই কেটে যায় কত বছর, কত মাস, কত দিন। কিছুতেই আর রাস্তাটা খুঁজে পাওয়া যায় না। কী করলে একজন গায়ক বা গায়িকা হয়ে উঠতে পারেন দক্ষ প্লেব্যাক সিঙ্গার তারই পথ বাতলাবেন এ বার সুরকার তথা সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।
এই প্রথম কোনও সুরকারের উদ্যোগে শুরু হতে চলেছে প্লেব্যাক সিংগিংয়ের এমন ক্লাস। ‘অপুর পাঁচালী’ থেকে ‘মিশর রহস্য’, ‘হাওয়া বদল’ থেকে ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘লে ছক্কা’ থেকে ‘শত্রু’র মতো ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করে ইন্দ্রদীপ বেশ তো ছিলেন তাঁর সুরের জগতে। হঠাৎ প্লেব্যাক সিঙ্গার তৈরির নেশায় মাততে চলেছেন কেন? বললেন, ‘‘মন তো এক কাজ করতে করতে অন্য কিছুও করতে চায়। নিজে সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করতে করতে, বিভিন্ন শিল্পীদের দিয়ে প্লেব্যাক গাওয়াতে গিয়ে এমন অনেক কিছুই শিখেছি যা আমি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। প্লেব্যাক সিংগিংয়ের জন্য গলার মডিউলেশন থেকে টোন সেট করা, স্বরপ্রক্ষেপণ, সব কিছুই আলাদা ভাবে শেখার দরকার আছে বলে মনে হয়। তা ছাড়া অন্যদের শেখালে নিজেও তো কাজ করছি। আমিও এই ক্লাস নিলে নিজে সমৃদ্ধ হব।’’
অগস্ট মাস থেকে শুরু হতে চলেছে ইন্দ্রদীপের এই ক্লাস। প্রথম দিকে শুধু ক্লাসই নেওয়া হবে দক্ষিণ কলকাতার কোনও এক বাড়িতে। ক্লাস যদি জমে ওঠে তো পরবর্তী কালে ইন্সটিটিউট তৈরি করার কথা ভাববেন ইন্দ্রদীপ। আঠারো থেকে তিরিশের গায়ক-গায়িকারাই যোগ দিতে পারবেন এই ক্লাসে। এই প্রতিষ্ঠান চালু করার পেছনে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য কতটা? ‘‘দেখুন একটা প্রতিষ্ঠান চালু করতে গেলে একটা রেভেনিউ আয় করার ব্যাপার তো থাকেই। আমি একটা পেশা থেকে সময় বের করে যখন কাজ করতে আসছি তখন টাকা তো নেবই,’’ বলছেন ইন্দ্রদীপ।
প্লেব্যাকের শিক্ষা নিয়ে বেরোবার পর কি সুযোগ পাবেন ছাত্রছাত্রীরা ইন্দ্রদীপের সঙ্গীত পরিচালনা করা ছবিগুলিতে? ‘‘অবশ্যই। তাদের যদি যোগ্যতা থাকে তারা নিশ্চয়ই চান্স পাবে ছবিতে,’’ ইন্দ্রদীপের সাফ জবাব। সঙ্গীত পরিচালকের ক্লাস থেকে আগামী দিনের প্লেব্যাক সিঙ্গার কত জন বেরোন সেটাই দেখার।