ইন্দ্রাণী হালদার।
প্রতি সন্ধেয় যাঁরা টেলিভিশনের সামনে রুটিনমাফিক বসে পড়েন, তাঁদের জন্য নিত্য নতুন গল্প ভাবাটা চ্যালেঞ্জ। আর এই কাজটাই সাফল্যের সঙ্গে করে আসছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদেরই নতুন ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’ আসছে আগামী জুনে। নামভূমিকায় ইন্দ্রাণী হালদার। লীনাদের প্রযোজনা সংস্থায় প্রথম বার কাজ করছেন ইন্দ্রাণী।
লীনা বলছিলেন, ‘‘ইন্দ্রাণীর চরিত্রটি মধ্যবয়স্ক। এই বয়সের মহিলাদের কেন্দ্র করে গল্প সচরাচর ভাবা হয় না। টিভিতে যেহেতু ফর্মুলা স্টোরিই বেশি চলে, আমরা সেই কারণেই এক্সপেরিমেন্ট করছি।’’
স্বামী-সন্তান-সংসারের জন্য খেটে শ্রীময়ীর নিজের দিকে তাকানোর সময় হয় না। কিন্তু ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেলে মায়ের সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হয়। তখন মায়ের মনের অবস্থা কেমন হয়, সেটাই মূলত গল্প। শ্রীময়ীর স্বামী কর্পোরেট চাকুরে। বড় ছেলে ডাক্তারির জগতে ব্যস্ত। মেয়ে স্কুলে পড়ে। মা ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না বা গাড়ি চালাতে পারে না বলে তার কিছুটা লজ্জা রয়েছে। ছোট ছেলে বরং মাকে বোঝার চেষ্টা করে। ধারাবাহিক নিয়ে শৈবাল বলছিলেন, ‘‘ইয়ং জেনারেশন হয়তো ধারাবাহিকটি দেখে উপলব্ধি করবে যে, মা-বাবার সঙ্গে ভাল আচরণটা কত জরুরি।’’
ফ্যামিলি ফ্রেন্ড হিসেবে একটি চরিত্রে রয়েছেন ঊষসী চক্রবর্তীও। অনেক দিন পরে ছোট পর্দায় দেখা যাবে ঊষসীকে। তাঁর চরিত্রটি প্লটে কিছু ‘কনফ্লিক্ট’ তৈরি করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে নির্মাতারা স্পষ্ট কিছু বলেননি। তবে এক্সপেরিমেন্টের বিষয়টা খোলসা করলেন। জানালেন, ধারাবাহিকের একটি পর্যায়ে দেখা যাবে শ্রীময়ী শুধু সংসার নয়, সমাজের জন্যও কিছু করার কথা ভাবে। নিজে মহিলা বলে মেয়েদের জন্য কিছু করার কথা ভাবে সে। ধারাবাহিকে যাঁরা উত্তরণের পথ খোঁজেন, শ্রীময়ীর এই সামাজিক দিকটা তাঁদেরও ইতিবাচক একটি দিশা দেখাবে বলে মনে করেন লীনা।