‘পদ্মাবতী’-র লুকে দীপিকা পাড়ুকোন।
‘পদ্মাবতী’ বিতর্কের কি শেষ চ্যাপ্টার চলে এল? কিছু দৃশ্য বাদ দিলে এবং ছবির নাম বদলালে ইউ/এ সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হবে সঞ্জয় লীলা ভংসালীর এই ছবিকে। সেন্সর বোর্ড সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে।
গত ২৮ ডিসেম্বর একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। জানা গিয়েছে, এই ছবির কিছু অংশের পরিবর্তন করে তবেই রিলিজ করানো যাবে। যার মধ্যে ২৬টি কাটের সুপারিশ রয়েছে।
‘পদ্মাবতী’ থেকে ছবির নাম ‘পদ্মাবত’ করার সুপারিশ করেছে সেন্সর বোর্ড। মালিক মহম্মদ জয়শীর বিখ্যাত কবিতা ‘পদ্মাবত’ যার ওপর নির্ভর করে ছবিটি তৈরি হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন, পদ্মাবত-পদ্মিনী-পদ্মা, ‘ইতিহাস’-এর জয় হোক!
দ্বিতীয় পরিবর্তন ‘ঘুমর’ গানটিতে করার নির্দেশ দিয়েছে সিবিএফসি। ওই গানে যে ভাবে রানি পদ্মাবতীর নাচ দেখানো হয়েছে তা পরিবর্তন করতে হবে।
তৃতীয়ত, বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ হিসেবে ছবি শুরুর আগে লিখে দিতে হবে, এখানে ‘সতী’ শব্দটি সিনেমার প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে মহত্ব আরোপের কোনও উদ্দেশ্য নেই।
আরও পড়ুন, হিন্দু মুসলমান সবাই জানে, পদ্মিনী শুধুই কল্পনা
এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, সেন্সর বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘ফিল্মমেকার এবং সমাজ— দু’তরফের ভাবনা থেকেই ছবিটি ব্যালান্স করা হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্যই স্পেশ্যাল প্যানেল তৈরি করেছিল সেন্সর বোর্ড। যারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।’’
বলিউড-টলিউড-টেলিউডের হিট খবর জানতে চান? সাপ্তাহিক বিনোদন সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
সেন্সর বোর্ডের এই বিশেষ প্যানেলে ছিলেন উদয়পুরের অরবিন্দ সিংহ, জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ চন্দ্রমানি সিংব এবং প্রফেসর কে কে সিংহ। এর আগে সঞ্জয়ের ১৯০ কোটি টাকার এই ছবি বারবার বিতর্কের মুখে পড়েছে। সেন্সর বোর্ডের এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর যদিও পরিচালক বা প্রযোজকের তরফে কেই এখনও মুখ খোলেননি। ফলে সেন্সর বোর্ডের সুপারিশ মেনে ছবিটি আদৌ মুক্তি পাবে কিনা, সেটাই এখন দেখার।