ফওয়াদ খান আছেন, দেখা যাবে না মাহিরা খান, হানিয়া আমিরকে? ছবি: সংগৃহীত।
যতই সম্পর্ক নিয়ে টানাপড়েন থাক, কিছু পাকিস্তানি অভিনেতা ভারতীয়দের প্রিয়। এঁরাও ভারতীয় ছবিতে অভিনয় বা গান গাওয়ার জন্য আগ্রহী। দুই দেশের মধ্যে তাই নানা কারণে সমস্যা তৈরি হলে পড়শি দেশ হিসাবে অনেক সময় মতামতও প্রকাশ করেন তাঁরা। যেমন, ২২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া পহেলগাঁও ঘটনা। ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু ছুঁয়ে গিয়েছিল ফওয়াদ খান, মাহিরা খান, হানিয়া আমির-সহ একাধিক শিল্পীকে। সমাজমাধ্যমে তাঁরা ঘটনার নিন্দা করেন। এঁদের মধ্যে মাহিরা যদিও পরে নিজের মন্তব্য মুছে দেন। যা তাঁকে নতুন করে চর্চায় নিয়ে এসেছে।
এর পরেই ভারতে নিষিদ্ধ হয়ে যান পাক শিল্পীরা। এঁদের মধ্যে ফওয়াদ, আতিফ আসলাম, মাহিরা, হানিয়া এবং আরও অনেকে রয়েছেন। হিন্দি ছবিতে এঁদের আর দেখা যাবে না, এমনই বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি, ভারতীয় সমাজমাধ্যমেও এঁদের ব্লক করে দেওয়া হয়। যা জানার পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সমাজমাধ্যমে ‘ব্লক’ খুলে দেওয়ার জন্য দরবারও করেন হানিয়া। যদিও প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এখনও কোনও সাড়া মেলেনি। এই ঘটনার এক দিন পরেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সব অভিনেতা-শিল্পী নাকি ভারতীয় সমাজমাধ্যমে নিষিদ্ধ নন! হানিয়া, মাহিরা, আলি জ়াফরের অ্যাকাউন্ট এ দেশে দেখা না গেলেও ফওয়াদ সমাজমাধ্যমের বেড়াজালে আটকা পড়েননি। যেমন পড়েননি আতিফ আসলাম, মাওরা হোসেন, আলি শেঠি, রাহাত ফতেহ আলি খান। ভারতীয় সমাজমাধ্যমে এঁদের অ্যাকাউন্ট খোলা!
মাহিরা ভারতকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা দিয়েও মুছে দিয়েছেন। সেই কারণে না হয় কাজের পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে নিষিদ্ধ হতে পারেন। বাকিরা কী দোষ করলেন? হানিয়া যেমন অনেক দিন ধরে সলমন খান, কর্ণ জোহরের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করছেন। আবার ফওয়াদের সঙ্গে ‘আবির গুলাল’ ছবিতে অভিনয়ের কারণে নিজের দেশে নিন্দিত নায়িকা বাণী কপূর। অথচ ফওয়াদকে কিন্তু অদ্ভুত ভাবে সমাজমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে।
কেন এই ভাগাভাগি? কারণ এখনও স্পষ্ট নয় কারও কাছে। পাকিস্তানের কিছু শিল্পী ভারতে ছাড়পত্র পাওয়ায় বিস্মিত দুই দেশের নাগরিকেরাই।