ছবির দৃশ্য
নজর কেড়েছিলেন তাঁর প্রথম ছবি ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’তেই। প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য আগামী ছবি ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’-য় নতুন আঙ্গিকে বলছেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘শ্রীকান্ত’-র গল্প। হঠাৎ এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেন? ‘‘আসলে শ্রীকান্ত আমার বরাবরই খুব প্রিয় চরিত্র। পাশ করার পর যখন সিনেমা বানানোর কথা ভাবছি, তখন শ্রীকান্তর কথা মাথায় ছিল। কিন্তু সে সময় গল্পটা পিরিয়ডিক্যাল ফর্মে ছিল, যে ভাবে বইয়ে আছে। ছবিটা বানাতে গিয়ে তাকে আধুনিক সময়ে নিয়ে এসেছি। ফলে গল্প অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তা ছাড়া একটা ক্লাসিক সাহিত্যকে বই পড়ার মতো করে ছবিতে উগড়ে না দিয়ে, তাকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করাটা আমার কাছে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং,’’ বললেন প্রদীপ্ত।
ছবিতে অবশ্য চরিত্রদের নাম একই আছে, বদলেছে বর্ণনা। এ ছবির শ্রীকান্ত ভীরু। সে তোষামুদে খামখেয়ালি। যদিও সে স্বপ্ন দেখে। ‘‘উপন্যাসে একটা চরিত্র প্রায় নামমাত্র ছিল, শ্রীকান্তর এক বন্ধু। আমার ছবিতে তার অনেকটাই ভূমিকা। নাম দিয়েছি হুকুমচাঁদ। শ্রীকান্তর চেয়ে বেশি পরিবর্তন হয়েছে ইন্দ্রনাথের। রাজলক্ষ্মী চরিত্রের বাইরের কাঠামোটা একই। সে একজন বাঈজি। কিন্তু তার জীবনে প্রচুর স্ট্রাগল। তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল... আসলে গল্পটা লিখেছি এক রকম ভেবে, ছবিটা বানাতে গিয়ে তা আর এক রকম হয়ে গিয়েছে,’’ হাসতে হাসতে বললেন পরিচালক।
ছবিটা শেষ করতে অবশ্য অনেক বাধা বিপত্তি পেরোতে হয়েছে পরিচালককে। বহু দিন শুটিং বন্ধ ছিল। বললেন, ‘‘আমি ছবি করতে গেলে নানা বাধা আসবেই, ব্যাপারটাকে এ ভাবেই দেখি। টাকাপয়সা একটা বড় কারণ। শুটিং পিছিয়ে গেলে ডেটের সমস্যাও হয়। তবে মনে হচ্ছে আর তা হবে না।’’
রাহুল ও জ্যোতিকা
ছবিতে গানও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‘‘বেশ কিছু ফোক গান কানাই দাস বাউলের কাছে গিয়ে রেকর্ড করেছি। আমার বন্ধু তন্ময়, অরিন্দম নিজেদের কথায় ও সুরে কয়েকটা গানের অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছে। রয়েছে কিছু সেমি ক্লাসিক্যাল গান।’’
এ বছরের শেষ দিকে ছবি মুক্তি পাবে। শ্রীকান্তর ভূমিকায় রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, রাহুল অভিনয় করেছেন হুকুমচাঁদের চরিত্রে, বাংলাদেশের অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি হয়েছেন রাজলক্ষ্মী, সায়ন ঘোষ ও অপরাজিতা ঘোষকে দেখা যাবে যথাক্রমে ইন্দ্রনাথ ও অন্নদাদিদির চরিত্রে।