রাজপরিবারে কান পাতলেই গুঞ্জন— বিয়ে করছেন প্রিন্স হ্যারি। গত মাসেই বান্ধবী মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কলের সঙ্গে বাগদান সেরে ফেলেছেন। এ বার শুধু চার হাত এক হওয়ার অপেক্ষায়। কে এই মেগান মার্কল? জানতে চোখ রাখুন গ্যালারির পাতায়।
৩৩ বছরের জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন ব্রিটেনের ছোট রাজকুমার। ২০১৬-র শেষ থেকেই হ্যারির সঙ্গে মার্কলের প্রেম নিয়ে গুঞ্জন শোনা যায়। সম্পর্কের শুরু নাকি তারও ছ’মাস আগে থেকে।
মার্কল জানিয়েছেন, হ্যারির সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা লন্ডনে। সেখান থেকেই সম্পর্কের সূত্রপাত। প্রথমে বিষয়টি গোপন থাকলেও চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে হ্যারির সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করেন মেগান।
৩৩ বছরের হ্যারির সঙ্গে বছর ছত্রিশের মেগানের সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। শোনা গিয়েছে সংবাদমাধ্যমের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে মেগানকে। তবে প্রথম থেকেই প্রেমিকাকে সমর্থন করে গিয়েছেন হ্যারি।
অভিনেত্রী, মডেল, নারীবাদী এবং সমাজকর্মী র্যাচেল মেগান মার্কেলের জন্ম ১৯৮১-র ৪ অগস্ট লস অ্যাঞ্জেলসে। মেগানের মা ডোরিয়া রাডলান এক জন সমাজকর্মী, মনোবিজ্ঞানী এবং যোগা প্রশিক্ষক। তাঁর বাবা এমি অ্যাওয়ার্ড জেতা বিখ্যাত ডিরেক্টর থমাস মার্কল।
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে কমিউনিকেশনে স্নাতক হন মেগান। ২০১১ সালে টেলিভিশন সিরিজ ‘স্যুটস’-এ প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। ‘সিএসএস: মিয়ামি’, ‘৯০২১০’, ‘জেনারেল হসপিটাল’ নামে আরও একগুচ্ছ টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন মেগান।
টেলিভিশন সিরিজের পাশাপাশি হলিউড সিনেমাতেও নজর কাড়েন মেগান। ২০১০ সালে ‘রিমেমবার মি’, ‘গেট হিম টু দ্য গ্রিক’ এবং ২০১১ সালে ‘হরিবল বসেস’ সিনেমায় তাঁর অভিনীত চরিত্র দাগ কাটে। তবে সায়েন্স ফিকশন ছবি ‘ফ্রিঞ্জ’-এ একজন স্পেশাল এজেন্টের চরিত্রে অভিনয়ের পরেই লাইমলাইটে চলে আসেন মেগান।
লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে বরাবরই সরব মেগান। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীদিবসে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি সম্মেলনে মেগান বলেছিলেন, ‘‘এক জন নারী এবং নারীবাদী হিসেবে আমি গর্বিত।’’
এর আগে অভিনেতা এবং প্রযোজক ট্রেভর এনগেলসনের সঙ্গে বিয়ে হয় মেগানের। ২০১৩ সালে দু’জনের বিচ্ছেদ হয়। মার্কিন এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেগান জানিয়েছিলেন হ্যারির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি খুবই খুশি।
বাকিংহাম প্যালেস সূত্রে খবর, রানি এই হবু দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিয়ের দিন এখনও ঘোষণা না হলেও ফের এক জমকালো রাজকীয় বিয়ে দেখার অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে ব্রিটেন-সহ গোটা বিশ্ব।