Entertainment News

নীরবের গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর থাকবেন না প্রিয়ঙ্কা

প্রিয়ঙ্কা এখন নীরবের সংস্থার গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। গত বছর জানুয়ারি মাস এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৮:০৫
Share:

প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

সত্যিই কি তাঁকে দিয়ে কাজ করিয়ে টাকা দেননি নীরব মোদী? সাম্প্রতিক এই জল্পনা নিয়ে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছুই এখনও বলেননি প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। কিন্তু নীরবের সংস্থার সঙ্গে সমস্ত রকম চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন নায়িকা। এবং তাঁর পক্ষ থেকে জানানো হল— পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক বা পিএনবি-র ঘটনার জেরেই এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement

প্রিয়ঙ্কা এখন নীরবের সংস্থার গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। গত বছর জানুয়ারি মাস এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছিল।

শুক্রবার প্রিয়ঙ্কার মুখপাত্র এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘‘চলতি বিতর্কের জেরে নীরব মোদীর ব্র্যান্ডের সঙ্গে সমস্ত লিখিত চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।’’ এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

প্রিয়ঙ্কার মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, নীরব মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কা মামলা দায়ের করেছেন বলে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছিল। কিন্তু সে খবরের কোনও ভিত্তি নেই।

আরও পড়ুন, এখনও পর্যন্ত নীরবের কী কী বাজেয়াপ্ত হল জানেন?

নীরবের সংস্থার গয়নার বিজ্ঞাপনে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন সিদ্ধার্থ মলহোত্রা। সূত্রের খবর, নীরবের সংস্থার সঙ্গে সিদ্ধার্থর চুক্তি ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সিদ্ধার্থ স্বয়ং।

প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১১-এ মুম্বইয়ে পিএনবি-র ব্র্যাডি হাউস শাখা থেকে কোনও নিয়মকানুন ছাড়াই বিরাট অঙ্কের ঋণের গ্যারান্টি হাতিয়ে নেয় নীরব ও তাঁর সংস্থা ফায়ারস্টার ডায়মন্ড। লক্ষ্য ছিল হংকং থেকে হিরে কেনা। যার মানে, টাকা মেটানো না হলে তার দায়িত্ব ব্যাঙ্কের। সেই নথি দেখিয়ে আবার এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং আরও কিছু ব্যাঙ্কের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ জোগাড় করেন নীরব।

আরও পড়ুন, যাব না, ইডিকে সাফ জবাব নীরবের

কর দফতর সূত্রের খবর, গত ২০১৭-র মার্চ পর্যন্ত হিসেবে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক নীরব মোদী, তাঁর মামা মেহুল চোকসি ও অন্যান্য আত্মীয়ের সংস্থাকে ঋণ ও গ্যারান্টি খাতে ১৭,৬৩২ কোটি টাকা দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ওই অঙ্কও ছাড়িয়ে যাবে বলে ইঙ্গিত কর দফতরের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন