Radhika Apte

স্তন ছোট বলে কথা শুনেছেন, তবু কিসের ভয়ে প্লাস্টিক সার্জারি করাননি রাধিকা?

ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই তাঁকে মনে করিয়েছেন স্তন প্রতিস্থাপনের কথা। রাধিকার স্তনের আকার ছোট, পর্দায় খারাপ দেখায়— এমন কথা বহু বার শুনতে হয়েছে তাঁকে। তবুও প্লাস্টিক সার্জারির ধার ধারেননি অভিনেত্রী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৩৮
Share:

রাধিকার নতুন কাজ ‘মিসেস আন্ডারকভার’-এর প্রচারে এসে প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে খোলাখুলি নিজের মত ব্যক্ত করলেন অভিনেত্রী। — ফাইল চিত্র।

অভিনয়ের জগতে নিজেকে পর্দায় প্রকাশ করার ক্ষেত্রে নানা কুণ্ঠা দেখা দেয় কলাকুশলীর। প্রথম হল চেহারা, দ্বিতীয় রূপ। তার উপর ইন্ডাস্ট্রিরই কেউ যদি সে বিষয়ে সচেতন করেন, তা হলে তো কথাই নেই। অনেক তারকাই প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে ‘খুঁত’ ঢেকে ফেলতে চান। আরও সুন্দর হয়ে উঠতে চান। অভিনেত্রী রাধিকা আপ্টে যদিও নিজের প্রাকৃতিক চেহারা নিয়েই সন্তুষ্ট। জানালেন, প্লাস্টিক সার্জারির চক্করে পড়ে নতুন প্রজন্মের সকলকে যেন একই রকম দেখতে লাগে। সেই সৌন্দর্য কৃত্রিম, রোবটের মতো।

Advertisement

নতুন কাজ ‘মিসেস আন্ডারকভার’-এর প্রচারে এসে প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে খোলাখুলি নিজের মত ব্যক্ত করলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “প্লাস্টিক সার্জারি একটা বড় ব্যাপার। সবাই করছে। তাই সবাইকে দেখতে একই রকম লাগে। বড়সড় ঠোঁট, গালের হাড় উঁচু— যাই হোক, আমি জানি না, অনেকটা যাকে বলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর মতো, এক রকম দেখতে লাগে সবাইকে। এটা কিন্তু অবাক করা!”

অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি সুখে থাকতে চাই। যে কোনও ধরনের নিরাপত্তাহীনতা, পেশা নিয়েই হোক বা কেমন দেখাচ্ছে তা নিয়েই হোক— বেশি প্রশ্রয় দিলে সেটা বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। আমার শান্তি বিঘ্নিত হয়। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকি।”

Advertisement

তবু কথা কি শুনতে হয়নি রাধিকাকে? ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই তাঁকে মনে করিয়েছেন স্তন প্রতিস্থাপনের কথা। রাধিকার স্তনের আকার ছোট, পর্দায় খারাপ দেখায়— এমন কথা বহু বার শুনতে হয়েছে তাঁকে। তবুও প্লাস্টিক সার্জারির ধার ধারেননি অভিনেত্রী। আমল দেননি তাঁর গায়ের রং নিয়ে কথা উঠলেও। নিজে যেমন, তাতেই খুশি রাধিকা। জানান, এর জন্য কাজ আটকে থাকেনি। পছন্দমতো চিত্রনাট্য এসেছে তাঁর কাছে। যে কাজ পাননি চেহারার ‘খুঁত’-এর কারণে, সে কাজ তাঁর জন্য ছিল না বলেই মনে করেন।

অভিনেত্রী জানান, তাঁদের কথা ভেবে তিনি দুঃখ পান, যাঁরা সিনেমা দ্বারাই অনুপ্রাণিত হন। সিনেমা আর বাস্তব এক নাকি? প্রশ্ন ছোড়েন রাধিকা। তাঁর কথায়, “এ দেশে সিনেমাকে খুব সিরিয়াসলি নেয় লোকে। যে হেতু এটাই এখানে বিনোদনের একমাত্র উৎস।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন