প্রিয়জনকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ মন্দাকিনী। ছবি: সংগৃহীত।
মন ভাল নেই অভিনেত্রী মন্দাকিনীর। ২ জুলাই নিজের প্রিয়মানুষকে হারিয়ে ফেললেন তিনি। অভিনেত্রী জানান, এই ঘটনার পর তাঁর হৃদয় যেন স্তব্ধ হয়ে রয়েছে।
পিতৃবিয়োগ হয়েছে মন্দাকিনীর। তাঁর বাবা জোসেফ ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। মা ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মেয়ে। বাবার প্রয়াণে আবেগতাড়িতে হয়ে নিজের মনের কষ্ট উজাড় করে দিলেন অভিনেত্রী। বাবার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে মন্দাকিনী সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘‘আমার হৃদয় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি আমার বাবাকে হারিয়ে ফেললাম। এই কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। যে ভালবাসা, যে শিক্ষা ও জ্ঞান আমাকে দিয়েছ তার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে বাবা। আমার হৃদয়ে আজীবন তুমি থেকে যাবে।’’
১৯৮৫ সালে মুক্তি পায় রাজ কপূরের ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’। নায়ক রাজীব কপূর এবং নায়িকা মন্দাকিনী। বক্স অফিসে ঝড় উঠল সিনেমা এবং তার নায়িকা, দুইয়ের ক্যারিশ্মায়। সে সময় পুরুষহৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন সাহসিনী মন্দাকিনী। মেরঠের অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পরিবারে জন্ম ইয়াসমিনের, ১৯৬৩-র ৩০ জুলাই। রাজ কপূরের দেওয়া ‘মন্দাকিনী’ নামটিই রয়ে যায় বরাবরের জন্য। আরও বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘ডান্স ডান্স’, আদিত্য পঞ্চোলীর বিপরীতে ‘কঁহা হ্যায় কানুন’, গোবিন্দার নায়িকা হিসেবে ‘প্যায়ার করকে দেখো’ জনপ্রিয় হয় দর্শকমহলে। ১৯৮৯ সালের পর থেকে মন্দাকিনী ধীরে ধীরে মিলিয়ে যান বলিউড থেকে। বন্ধ করে দেন ছবি করা। ১৯৯০-এ মন্দাকিনী বিয়ে করেন প্রাক্তন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী কাগয়ুর টি রিনপোচে ঠাকুরকে। দলাই লামার ভক্ত, দুই সন্তানের মা, অতীতের নায়িকা মন্দাকিনী এখন তিব্বতি যোগশিক্ষার ক্লাস পরিচালনা করেন। স্বামীর সঙ্গে মিলে চালান একটি তিব্বতি ওষুধের কেন্দ্রও।