শেফালীর মতোই পরিস্থিতি হয়েছিল শ্রুতিকার? ছবি: সংগৃহীত।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শেফালী জরীওয়ালার। ‘কাঁটা লগা’-খ্যাত অভিনেত্রীর মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে চলছে তুমুল জলঘোলা। এ বার আরও এক ‘বিগবস্’ প্রতিযোগী জানালেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁরও। সম্প্রতি এক পডকাস্টে শ্রুতিকা অর্জুনও ভয়াবহ দাবি করলেন।
শ্রুতিকার দাবি, করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার পরে শরীরে নানা রকম উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়ে যে যন্ত্রণা হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন। শুধু বাঁচার আর্তি জানিয়েছিলেন তিনি। অসুস্থ হয়ে আতঙ্কে কাঁপছিলেন, জানান শ্রুতিকা।
পারস ছাবড়ার পডকাস্টে শ্রুতিকা বলেন, “আমি একটাই ভ্যাকসিন নিয়েছিলাম। হয়তো ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যই অথবা অন্য কারণও থাকতে পারে অসুস্থতার পিছনে। পাঁচ বছর আগে আমার বয়স তখন ৩০। তখন কেউ মরতে চায় না। আমার স্বাভাবিক পদ্ধতিকে সন্তান হয়েছে। সেই যন্ত্রণার চেয়েও বেশি কষ্ট হচ্ছিল। আমার শ্বাস পড়ছে কি না, সেটা আমার স্বামী বার বার দেখছিলেন।”
প্রতিষেধক নেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে জানান শ্রুতিকা। পরের দিন সকাল হওয়ার পরে সামান্য শারীরিক উন্নতি হয়েছিল দক্ষিণী অভিনেত্রীর। কিন্তু বিছানা ছেড়ে ওঠার সময়েই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মাথা ঘুরে পড়ে যান শ্রুতিকা। দেখা যায়, তাঁর রক্তচাপ নেমে এসেছে ৪০-এ। প্রাণ সংশয় হয়েছিল তাঁর। শ্রুতিকা বলেছেন, “পড়ে যাওয়ার পরে আর কিছু মনে নেই। আমার চারপাশের লোকজনের কান্নার শব্দ কানে ভেসে আসছিল। ওরা আমাকে জাগানোর চেষ্টা করছিল। আমি মনে মনে শিবনাম জপ করছিলাম।”
এর সঙ্গে আরও নানা রকমের উপসর্গ ছিল শ্রুতিকার। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমার স্বামী অর্জুনকে বলছিলাম, আমার চোয়াল ভারী হয়ে আসছে। আমার বাঁ হাতটা ওঠাতে পারছি না। এগুলো তো হৃদ্রোগেরই উপসর্গ। আমি চোখ বন্ধ করে ডান হাতটা নাড়াতে থাকি, যাতে আমি পক্ষাঘাতগ্রস্ত না হয়ে পড়ি।”
এই অসুস্থতার সময়ে পাশে ছিলেন শ্রুতিকার স্বামী। কিন্তু অসুস্থতার ৪৮ ঘণ্টা পরেও দুর্বল ছিল তাঁর শরীর।
উল্লেখ্য, শেফালীও ‘বিগবস্’-এ যোগ দিয়ে ফের চর্চায় উঠে এসেছিলেন। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে তাঁর রক্তচাপ মাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছিল। মৃত্যুর পিছনে বয়স ধরে রাখার ওষুধের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারকেও দায়ী করা হচ্ছে।