রণবীর কপূর। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
নতুন ছবির টিজার লঞ্চ করতে গিয়েছিলেন বলিউডের কপূর খানদানের সদস্য। মু্ম্বইতে মঙ্গলের সন্ধ্যায় তখন পরিচালক-প্রযোজকদের মধ্যমণি রণবীর কপূর। সাংবাদিকের তাঁকে প্রশ্ন ছিল বলিউডে কাস্টিং কাউচের অভিযোগ নিয়ে। আর তাতেই যেন হেসে খুন হলেন রণবীর।
হ্যাঁ, কাস্টিং কাউচ নিয়ে বলতে গিয়ে বড্ড হাসি পেল রণবীর কপূরের।
সঞ্জয় দত্তের বায়োপিকের ‘হিরো’ রণবীর তখন বলতে শুরু করেছেন, ‘‘আমি কোনওদিন এর (কাস্টিং কাউচ) শিকার হইনি। তবে যদি ইন্ডাস্ট্রিতে এমন কিছু থেকে থাকে, তা জঘন্য...।” হয়তো আরও কিছু বলতেন। তবে তার আগেই হাসতে হাসতে রণবীরের গায়ে ঢলে পড়লেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি এবং প্রযোজক বিধুবিনোদ চোপড়া।
কিন্তু হঠাত্ তাঁদের এত হাসি পেল কেন? বলিউডে দীর্ঘদিন ধরেই কাস্টিং কাউচের অভিযোগ, অর্থাত্ যৌন সংসর্গের পরিবর্তে কাজ পাইয়ে দেওয়ার ট্র্যাডিশন কি তবে হাস্যকর ঘটনা? প্রশ্নটা উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
‘সঞ্জু’র টিজার লঞ্চ অনুষ্ঠানের সেই মুহূর্ত। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
রণবীরদের এমন অদ্ভুত অভিব্যক্তি দেখে নেটিজেনদের বক্তব্য, ‘নেপোটিজমের ধ্বজাধারীরা আর কাস্টিং কাউচ কী বোঝে!’। অনেকে আবার হতবাক বিধুবিনোদের হাসি মুখ দেখে। তাঁদের মত, ‘...আসলে কাস্টিং কাউচ বলিউডে গর্বের।’
মঙ্গলবারই ‘কাস্টিং কাউচ’নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির পাশে দাঁড়িয়ে তুমুল বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন নৃত্যনির্দেশক সরোজ খান। তেলুগু অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডি সম্প্রতি কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে অর্ধনগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করেছেন। তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সরোজ বলেছিলেন, ‘‘কাস্টিং কাউচ নিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দিকে সব সময় কেন আঙুল ওঠে? ইন্ডাস্ট্রি তো তা-ও রুটির ব্যবস্থা করে! ধর্ষণ করে ফেলে দিয়ে যায় না!’’
আরও পড়ুন, আলো ঝলমলে অধ্যায় থেকে অন্ধকার জগৎ, নানা অবতারে ‘সঞ্জু’
এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে সরোজ ক্ষমা চেয়ে নেন। যদিও রণবীররা এখনও তার প্রয়োজনই বোধ করেননি!